পরিচালকের আসনে এক দিকে সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, অন্য দিকে ফারহা খান। এক দিকে বলি অভিনেতা ঋষি কপূরের পূত্র রণবীর কপূর এবং অনিল কপূরের কন্যা সোনম কপূরের প্রথম ছবি। অন্য দিকে দীপিকা পাড়ুকোনের বলিপাড়ায় পদার্পণ, তাও আবার শাহরুখ খানের নায়িকা হিসাবে।
১৬ বছর আগে ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বরের ঘটনা। একই দিনে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল দু’টি হিন্দি ছবি।
কিন্তু অভিনেতা এবং পরিচালকের জেদের জন্য ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয় শাহরুখ এবং দীপিকার ছবি।
এক সাক্ষাৎকারে ফারহা জানান, শাহরুখ এবং দীপিকা অভিনীত ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি খুব সহজেই ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারত। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ফারহা নিজেই।
ফারহার দাবি, বলিপাড়ায় কেউ নিজেদের জায়গা ছাড়তে চান না। একই তারিখেই নাকি সকলে ছবি মুক্তি করতে চাইতেন বলে জানান ফারহা।
সঞ্জয় পরিচালিত ‘সাওয়ারিয়া’ ছবির সঙ্গে একই তারিখে মুক্তি পেয়েছিল ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি। ফারহা ভেবেছিলেন দু’টি ছবি আলাদা দু’টি দিনে মুক্তি পেলে ভাল হত। কিন্তু পরিচালক এবং অভিনেতার জেদের কারণে নাকি তা হয়নি।
ফারহা বলেন, ‘‘ছবি মুক্তির তারিখ পরিবর্তন নিয়ে সঞ্জয় নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। শাহরুখও জেদ করে বসেছিলেন যে ৯ নভেম্বরই তাঁর ছবি মুক্তি পাবে।’’
দু’টি ছবি একই তারিখে মুক্তি পাওয়ার জন্য নাকি ১০০ কোটির গণ্ডি ছুঁতে পারেনি ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি। ফারহা বলেন, ‘‘সেই সময় আমাদের ছবি ৮৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। আজ থেকে ১৬ বছর আগে এত টাকা আয় করেছিল ছবিটি।’’
ফারহার দাবি, যদি একই তারিখে সঞ্জয়ের ছবিটি মুক্তি না পেত তা হলে আরও বেশি পরিমাণ ব্যবসা করতে পারত ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি।
ফারহার ধারণা সেই সময় ১০০ কোটির গণ্ডি পার হলে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি বলিউডের প্রথম ছবি হত যা ১০০ কোটির ঘরে নাম লিখিয়ে ফেলত।
ফারহার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর পরিচালককে নিয়ে নেটব্যবহারকারীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেন। কেউ বলেন, ‘‘ফারহা ক্লাসের সেই ছাত্রীর মতো আচরণ করছেন যিনি সব সময় প্রথম স্থান অধিকার করেন।’’
আবার কেউ বলেছেন, ‘‘৮৩ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পেরেছে বলে ফারহা আনন্দিত নয়। অতিরিক্ত ১৭ কোটি টাকা রোজগার করতে পারেনি বলেই তাঁর মন খারাপ।’’
যদিও ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিস থেকে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। ৪৫ কোটি টাকা বাজেটের ছবি বক্স অফিস থেকে ৩৯ কোটি টাকার বাজার করেছে।