বাবা বলিপাড়ার প্রথম সারির ছবি নির্মাতা। বোন উপার্জনের দিক থেকে বলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বহু গুণ। শুধু হিন্দি ফিল্মজগতেই নয়, হলিউডেও আত্মপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর। তবুও কেন অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন ভট্ট পরিবারের কন্যা পূজা ভট্ট?
১৭ বছর বয়সে বাবা মহেশ ভট্টের পরিচালনায় টেলিভিশন ফিল্ম ‘ড্যাডি’তে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় পূজাকে।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিল হ্যায় কে মানতা নহি’ ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন পূজা।
‘সড়ক’, ‘জুনুন’, ‘চাহত’, ‘তামান্না’, ‘বর্ডার’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন পূজা। ২০০৩ সালে মুম্বইয়ের এক রেস্তরাঁ মালিক মণীশ মখিজাকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী।
১১ বছর পর মণীশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন পূজা। তিনি জানান, সেই মুহূর্ত পূজার জীবনের সবচেয়ে কঠিন ছিল। বিচ্ছেদের পর মদে আসক্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী এমনটাই দাবি করেন তিনি।
তবে ‘বিগ বস্ ওটিটি’ রিয়্যালিটি শোয়ে নিজের জীবনের আরও গোপন কথা বলেন পূজা। অভিনেত্রী জানান, তাঁর জীবনে এমন অবস্থা এসেছিল যে, তিনি অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন।
পূজা বলেন, ‘‘এত বড় তারকা হয়েও আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৪ হাজার টাকা পড়ে ছিল। তবুও আমি কারও কাছে হাত পাতিনি।’’
পূজার দাবি, অর্থ দিয়ে নয়, তিনি মানসিকতা দেখে লোকজনকে বিচার করেন। কারও মানসিকতা ভাল না হলে তাঁকে ‘ছোটলোক’ হিসাবে দেখেন পূজা।
পূজা আরও জানান, তাঁর জীবনে অনেক উত্থানপতন দেখেছেন। টাকাপয়সাও ছিল না। কিন্তু অর্থকে মাধ্যম হিসাবে রেখে করে কখনও কাউকে বিচার করেননি অভিনেত্রী।
মণীশের সঙ্গে ১১ বছর সংসার করলেও পূজার সন্তান নেই কেন, সে বিষয়ও খোলসা করেছেন অভিনেত্রী।
পূজা বলেন, ‘‘আমি সন্তানের দায়িত্ব সামলাতে পারতাম না। আমার স্বামী, শ্বশুরবাড়ির সকলেই খুব ভাল ছিল। সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত আমার ছিল।’’
বড় পর্দা থেকে বহু বছর বিরতি নিয়েছিলেন পূজা। ২০২১ সালে ‘বম্বে বেগমস’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করে আবার জোরকদমে অভিনয়জগতে ফিরে আসেন তিনি।
২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চুপ: রিভেঞ্জ অফ দ্য আর্টিস্ট’ ছবিতে শেষ অভিনয় করেছেন পূজা।
চলতি বছরে সলমন খান সঞ্চালিত ‘বিগ বস্ ওটিটি’ রিয়্যালিটি শোয়ে প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করেছেন পূজা।