মন্দাকিনী থেকে শক্তি কপূর, ফারদিন খান থেকে রিয়া চক্রবর্তী— বলিপাড়ায় এমন বহু তারকা রয়েছেন যাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে এমন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন যে তার প্রভাব পড়ে তাঁদের পেশাগত জীবনে। তালিকায় আর কে কে রয়েছেন জানেন কি?
১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাম তেরি গঙ্গা মইলি’ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকমনে জায়গা করে নেন বলি অভিনেত্রী মন্দাকিনী। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তেলুগু এবং বাংলা ভাষার ছবিতে অভিনয় করতেও দেখা যায় তাঁকে।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে অন্ধকারজগতের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মন্দাকিনীর। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাকি সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, দাউদের সঙ্গে মন্দাকিনীর সম্পর্কের কথা ছড়িয়ে পড়তেই ধীরে ধীরে অভিনয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হয়ে যায় মন্দাকিনীর কাছে। ব্যক্তিগত জীবনের জন্য কেরিয়ারেও পতন হয় অভিনেত্রীর।
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন শক্তি কপূর। ২০০৫ সালে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁর কেরিয়ারে প্রভাব পড়ে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, এক মহিলা সাংবাদিককে কুপ্রস্তাব দিয়ে অভিনয়ে নামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শক্তি। তাঁদের কথোপকথনের একটি ভিডিয়োও নাকি ছড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকে গুটিকতক ছবিতে অভিনয় করলেও অভিনেতা আর আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারেননি।
‘করণ অর্জুন’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘বাজি’, ‘চায়না গেট’-এর মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মমতা কুলকার্নি। কানাঘুষো শোনা যায় মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর আর অভিনয়ের প্রস্তাব পাননি মমতা। ২০০২ সালে ‘কভি তুম কভি হম’ ছবিতে শেষ অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
১৯৯৮ সালে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন বলি অভিনেতা ফারদিন খান। তার পর ‘জঙ্গল’, ‘ভূত’, ‘প্যার তুনে ক্যা কিয়া’, ‘ফিদা’, ‘হে বেবি’ এবং ‘নো এন্ট্রি’র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকমনে জায়গা করে নেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ে ফারদিনের। ২০০১ সালে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অভিনেতা। জেল থেকে ছাড়া পেলেও আগের মতো অভিনয় করতে দেখা যায় না ফারদিনকে।
২০১০ সালে ‘দুলহা মিল গয়া’ ছবিতে শেষ অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ফারদিনকে। বলিপাড়া সূত্রে খবর, দীর্ঘ সময় অভিনয়জগৎ থেকে দূরে থাকার পর বড় পর্দার পাশাপাশি ওয়েব সিরিজ়েও অভিনয় করার চিন্তাভাবনা করছেন অভিনেতা।
বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে সলমন খানের সম্পর্ক নিয়ে বলিপা়ড়ায় বিতর্ক-সমালোচনার অন্ত নেই। কানাঘুষো শোনা যায়, সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর নাকি বলি অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বর্যা।
বিবেক একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে সলমন নাকি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। প্রকাশ্যে সলমনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পর বিবেকের কেরিয়ারে পতন লক্ষ করা যায়। দীর্ঘ সময় হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাননি তিনি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সলমনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার কারণে বিবেকের কেরিয়ারে প্রভাব পড়ে। সুভাষ ঘাই, বিশাল ভরদ্বাজের মতো বলি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করলেও সেই সংখ্যা অনেকটাই কম।
বলি অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর তদন্তে নাম জড়িয়ে পড়ে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে সন্দেহের তির ছিল রিয়ার দিকেও।
তদন্তের পর রিয়া নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, বিতর্কে নাম জড়ানোর পর রিয়া বলি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করতে ব্যর্থ হন।