‘লগান’, ‘পিকে’, ‘তারে জমিন পর’, ‘দঙ্গল’— এই ছবিগুলির নাম বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খানের কেরিয়ারের এক একটি মাইলফলকে লেখা রয়েছে। তবে ‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিটিও আমিরের পেশাগত জীবনে রাতারাতি সাফল্য নিয়ে আসে। বক্স অফিসে সফল হওয়ার পাশাপাশি এই ছবি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশংসা পায়। তবে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও বলিপাড়ার বহু তারকা তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় রয়েছেন শাহরুখ খান, কাজল, সঞ্জয় দত্ত থেকে শুরু করে আরও অনেকে।
২০০৯ সালে রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘থ্রি ইডিয়ট্স’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান, আর মাধবন, শরমন জোশী, করিনা কপূর খান, ওমি বৈদ্য, বোমান ইরানি, মোনা সিংহ-সহ আরও অনেকে। কিন্তু চিত্রনাট্য নির্মাণের পর ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন অন্য বলি তারকারা।
‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে র্যাঞ্চোর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় আমিরকে। কিন্তু পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি। বরং বলিপাড়ার অন্য এক খানকে মুখ্যচরিত্রের জন্য পছন্দ করেছিলেন রাজকুমার।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, র্যাঞ্চোর চরিত্রের জন্য শাহরুখ খানকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজকুমার। কিন্তু শাহরুখ সেই সময় অন্য ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাজকুমারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
‘থ্রি ইডিয়ট্স’ মুক্তির ১৪ বছর পর শাহরুখ এবং রাজকুমার একই ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডাঙ্কি’। রাজকুমারের পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় শাহরুখকে।
কানাঘুষো শোনা যায়,‘থ্রি ইডিয়ট্স’-এ অভিনয়ের প্রস্তাব শাহরুখ ফিরিয়ে দিলে রণবীর কপূরকে প্রস্তাব দেন রাজকুমার। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে র্যাঞ্চোর চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি রণবীর।
শাহরুখ এবং রণবীর দু’জনেই রাজকুমারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আমিরকে র্যাঞ্চোর চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন পরিচালক। পরিচালকের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান অভিনেতা।
‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে আমিরের বিপরীতে জুটি বেঁধে পিয়ার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় করিনা কপূর খানকে। কিন্তু ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, পিয়ার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে বলি অভিনেত্রী কাজলকে প্রস্তাব দেন রাজকুমার। কিন্তু পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, পিয়ার চরিত্রনির্মাণ পছন্দ হয়নি কাজলের। সে কথা রাজকুমারকে নাকি জানিয়েওছিলেন অভিনেত্রী। তাই ‘থ্রি ইডিয়ট্স’-এ অভিনয় করতে চাননি কাজল।
‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে প্রিন্সিপাল ভাইরাসের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় বোমান ইরানিকে। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল অন্য অভিনেতার।
রাজকুমার পরিচালিত ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন সঞ্জয় দত্ত এবং বোমান। মুন্নাভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জয়। কানাঘুষো শোনা যায়,‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে ভাইরাসের চরিত্রের জন্যও সঞ্জয়কে পছন্দ করেছিলেন রাজকুমার। তাঁকে অভিনয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন রাজকুমার। কিন্তু বলিপাড়ার ‘সঞ্জু’ পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
শোনা যায়, ভাইরাসের চরিত্রের জন্য বলি অভিনেতা ইরফান খানকেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজকুমার। কিন্তু ইরফান পরিচালকের প্রস্তাব খারিজ করে দেন। সঞ্জয় এবং ইরফান দু’জনেই চরিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে বোমানকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
রাজকুমারের ‘মুন্নাভাই’ সিরিজ়ের জনপ্রিয় চরিত্র সার্কিট। এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন আরশাদ ওয়ারসি। কানাঘুষো শোনা যায়, ‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আরশাদকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজকুমার। কিন্তু পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বলি অভিনেতা জন আব্রাহমকেও নাকি ‘থ্রি ইডিয়ট্স’-এ অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অভিনেতা।
‘থ্রি ইডিয়ট্স’ ছবিতে ফারহানের চরিত্রটি বড় পর্দায় নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তোলেন আর মাধবন। কিন্তু এই চরিত্রের জন্য প্রথমে অন্য অভিনেতাকে পছন্দ হয়েছিল ছবিনির্মাতাদের।
কানাঘুষো শোনা যায়, ফারহানের চরিত্রের জন্য প্রথমে সইফ আলি খানকে পছন্দ করেছিলেন রাজকুমার। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য সময় বার করতে না পারায় অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন সইফ।