Amitabh Bachchan

Bollywood: আফসোসে হাত কামড়ান ক্যাটরিনা, অমিতাভও, ভুল এমনই যে শোধরানোর উপায় নেই আর

আসলে না বলতে কলজের জোর লাগে। বলতে না পারলে এ ভাবেই আফসোস করতে হয়। আর বলে ফেললে অপ্রিয় হওয়া নিশ্চিত।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০৮
Share:
০১ ১৪

অবসরে অমিতাভ বচ্চন কি রাম গোপাল ভার্মার সিনেমা ‘আগ’-এর কথা মনে করে একবারও আফসোস করেন না? একটু ‘চুক চুক’ আওয়াজ কিংবা একটা ‘ছিঃ!’-ও বলেন না মুখ বিকৃত করে!

০২ ১৪

‘আগ’ বলিউডের ক্লাসিক ছবি ‘শোলে’র রিমেক। ছবিটি চলেনি বললে কম বলা হয়। ভুল বলা হয়। কারণ দর্শক ছবিটি দেখেননি তো বটেই উল্টে পরিচালককে গালমন্দও করেছেন। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ। তাঁর চরিত্রটি ছিল মূল ছবি ‘শোলে’-র ভিলেন গব্বরের আদলে। নাম বব্বন সিং। বক্স অফিসে বিপর্যয়ের রেকর্ড তৈরি করেছিল ‘আগ’। এমনকি অমিতাভ ভক্তরাও অবাক হয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন এই ছবি করতে গেলেন অমিতাভ!

Advertisement
০৩ ১৪

একই অবস্থা এখন ক্যাটরিনারও। ‘বুম’ প্রসঙ্গ উঠলেই বলিউডের সদ্য বিবাহিতা এই অভিনেত্রী আজও মুখ লুকনোর জায়গা খোঁজেন। বলিউডে ক্যাটরিনার প্রথম ছবি বুম। তাতে ক্যাটরিনাকে পর্দায় যে ভাবে ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক তা নিয়ে আজও আলোচনা হয় পত্র-পত্রিকার ‘গসিপ কলাম’-এ। এক সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনাও একবার বলেছিলেন, বুম সিনেমায় তাঁকে যা করতে হয়েছিল তা ভবিষ্যতে আর কোনওদিন করবেন না। দরকার হলে ফিল্মে অভিনয় করা ছেড়ে দেবেন তিনি। সে-ও অনেক ভাল। এই আফসোস তাঁর মেটার নয়।

০৪ ১৪

আসলে না বলতে কলজের জোর লাগে। বলতে না পারলে এ ভাবেই আফসোস করতে হয়। আর বলে ফেললে অপ্রিয় হওয়া নিশ্চিত। বলিউড তারকারাও এমন দোলাচলের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন না। প্রত্যাখ্যানে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে আশঙ্কায় অনেক সময়েই উপরোধে ঢোক গিলতে হয় তাঁদেরও। যার খেসারত দিয়ে যেতে হয় জীবনভর। কারণ একটি সিনেমাকে চিরতরে মুছে ফেলা বোধ হয় সম্ভব নয়।

০৫ ১৪

বলিউডের অনেকেই অমিতাভ-ক্যাটরিনার মতো পরিস্থিতির শিকার। না বলতে না পেরে ছবিতে অভিনয় করে আফসোস করেছেন অনেকেই। পরে সেই আফসোসের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেনও।

০৬ ১৪

তালিকার শুরুতেই আছেন অভয় দেওল। তাঁর আফশোসের নাম ‘আয়েশা।’ এই সিনেমায় অনিল কপূরের কন্যা সোনমের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভয়। যে তিনি ততদিনে দেব ডি, ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে-র মতো সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়া ছবি করে ফেলেছেন। আয়েশা সমালোচকদের প্রশংসা তো পায়ইনি, বক্স অফিসেও অত্যন্ত খারাপ ফল করে। অভয় পরে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এমন ছবি জীবনে আর করবেন না। অভয় একটি সাক্ষাৎকারে এ-ও বলেছিলেন যে, ‘‘ছবিতে গল্পের থেকে পোশাককে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি তো এমন রিভিউও পড়েছিলাম, যে খানে লেখা হয়েছে ছবিতে পোশাকের ব্যবহার প্রশংসার্হ।’’

০৭ ১৪

শাহিদ কপূরের তিনটি আফসোস— ‘শানদার’, ‘চুপচুপ কে’ এবং ‘বাহ! লাইফ হো তো অ্যায়সি’। প্রথম ছবিতে তাঁর সহ অভিনেতা ছিলেন আলিয়া ভট্ট। প্রযোজক পয়সাও ঢেলেছিলেন বিস্তর। দারুণ সাজানো সেট, সুপারহিট গান কিছুই বক্স অফিস রক্ষা করতে পারেনি। সব ক্ষেত্রেই যে শাহিদকে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তা নয়। অভিনেতা জানিয়েছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরও সিদ্ধান্তের ভুল ছিল। এই তিনটি ছবি করে তাঁর মনে হয়েছে বড় কিছু করতে গিয়েও ক্ষমতা না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে।

০৮ ১৪

আফসোস করেন সইফ আলি খানও। ‘হামসকল’ ছবিটির জন্য। সম্ভব হলে ছবিটির অস্তিত্ব মুছে দিতেন তিনি। কিন্তু তা আর হওয়ার নয়। আসলে পরিচালক সাজিদ নাদিওয়ালাকে না বলতে পারেননি সইফ। সাজিদ তাঁকে কোনও স্ক্রিপ্ট দেননি। বলেছিলেন পুরো গল্পটা তাঁর মাথায় আছে। সইফ জানিয়েছেন, সাজিদ তাঁকে যা যা করতে বলেছিলেন বিনা বাক্যব্যয়ে তা-ই করে গিয়েছিলেন তিনি। এখন অবশ্য সইফকে হামসকলের কথা বললে তিনি একটাই জবাব দেন। ‘মিসটেক, মিসটেক’।

০৯ ১৪

গোবিন্দা একবার খলনায়ক হয়েছিলেন। ছবির নাম ‘কিল দিল’। কমেডি কিং গোবিন্দাকে খলচরিত্রে ভাবার মধ্যে যতটা সাহসিকতা ছিল চিত্রনাট্যে তার সিকিভাগও ছিল না। এই ছবির জন্য আজও আফসোস করেন গোবিন্দা। অভিনেতা বলেছেন, বাড়ির লোক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিল ছবিটি করতে। গোবিন্দাও সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন। এখন মনে হয় টাইম মেশিন থাকলে ফিরে যেতেন অতীতে বদলে নিতেন সিদ্ধান্ত।

১০ ১৪

ছবি চলবে কি না সে ব্যাপারে অজয় দেবগণ ৮০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যান শ্যুটিং করার সময়েই। তাঁর পর্যবেক্ষণ মিলেওছে বহুবার। তবে দু’টি ছবির ক্ষেত্রে তিনি এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে ছবিটি হওয়ার পর সেটি দেখেনওনি। অজয়ের ওই দুই আফসোসের ছবি, ‘রাস্কাল’ এবং ‘হিম্মতওয়ালা’।

১১ ১৪

প্রযোজক এবং সহকর্মীদের অখুশি করতে চাননি বলে ‘গুড বয় ব্যাড বয়’ ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন ইমরান হাশমি। ছবিটি চূড়ান্ত ফ্লপ হয়। পরে ইমরান বলেছিলেন, ছবিটি এত খারাপ ছিল যে তার কেরিয়ার শেষ হয়েও যেতে পারত।

১২ ১৪

আমির খানের সঙ্গে ‘মেলা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন টুইঙ্কল খন্না। এখন নিজের সিদ্ধান্তের কথা ভেবে তাঁর রাগ হয়। ইনস্টাগ্রামে খোলাখুলিই টুইঙ্কল ওই ছবির সমালোচনা করে লিখেছিলেন, ‘কিছু কিছু জিনিস সময় অতিক্রম করে আমাদের উপর দাগ রেখে যায়। ‘মেলা’ সেইরকম ছবি। তবে একে শুধু দাগ না বলে কাটা দাগ বলাই বোধ হয় ভাল।’ সোজা কথায় টুইঙ্কলের কাছে ‘দাগ অচ্ছে নেহি হ্যায়।’

১৩ ১৪

মল্লিকা শেরাওয়াতের বিপরীতে মান গয়ে ‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাহুল বসু। সে ছবির কথা মনে করে না কি বহু বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন রাহুল। এক সাক্ষাৎকারে রাহুল ছবিটির নাম না করে বলেছিলেন, ‘‘আমার ছবি বাছাই করার ক্ষমতার কথা ভেবে কত রাতে যে চোখে ঘুম আসেনি তা আমিই জানি!’’

১৪ ১৪

আফসোসের এই তালিকায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও আছেন। বরফির মতো ছবি করার পর জঞ্জির ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ছবিতে প্রিয়ঙ্কার অভিনয়ের কোনও জায়গা ছিল না। পরে প্রিয়ঙ্কা আফসোস করে বলেছিলেন, মাঝে মধ্যে আমরা ভুল করে ফেলি। কিন্তু ভুল তো ভুলই তাকে শুধরানোর জায়গা থাকে না। মেনে নিতে হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement