নব্বইয়ের দশক থেকেই সলমন খান, শাহরুখ খান, আমির খান, অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতাদের একচেটিয়া আধিপত্য চলছে বলিপাড়ায়। কিন্তু সেই সময় একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়ে গিয়েছেন গোবিন্দ।
গোবিন্দের কমিক টাইমিং ছিল অসামান্য। নাচের দৃশ্যে হোক বা অভিনয়, তিনি পর্দার সামনে এলেই সকলের নজর কেড়ে নিতেন। কেরিয়ার পুরোদমে শুরু করার পর একসঙ্গে বহু ছবি সইও করতেন তিনি।
কিন্তু কেরিয়ারের দিক থেকে সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠার সময় ‘অপেশাদার’ তকমা দেওয়া হয় গোবিন্দকে। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, ছবি নির্মাতাদের সময় দিয়েও কথা রাখতে পারতেন না তিনি।
এমনকি, ছবির শুটিংয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সেটে পৌঁছতে পারতেন না গোবিন্দ। তাই বলিপাড়ার নামী প্রযোজক এবং পরিচালকেরা তাঁর কাছে কাজের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন। এখন আর সে ভাবে অভিনয় করতে দেখা যায় না গোবিন্দকে।
গোবিন্দ সম্পর্কে অনেকে এমন কথা বললেও সুনীল শেট্টি কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। আবার তাঁর উপর অভিমান করতেও ছাড়েননি। সুনীল জানিয়েছেন যে, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যদি কেউ অভিনয়ের ভগবান হয়ে থাকেন, তবে তিনি চিচি ভাই (গোবিন্দ)।
অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সলমন খানের মতো প্রথম সারির তারকার নাম উল্লেখ না করে গোবিন্দের নাম নেন সুনীল। তাঁর উত্তর শুনে চমকে যান অনেকেই।
সুনীল তাঁর কেরিয়ারে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন। এখনও অক্ষয় চুটিয়ে সিনেমায় অভিনয় করছেন। কিন্তু তাঁর নামও উল্লেখ করেননি সুনীল।
সুনীলের দাবি, গোবিন্দের জন্মই হয়েছে সকলকে প্রভাবিত, অভিভূত করার জন্য। গোবিন্দ যেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন, সেখানকার পরিবেশই নাকি বদলে যায়। এমনটাই মনে করেন সুনীল।
তবে তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হলেও সুনীলের অভিমানও জমে রয়েছে গোবিন্দের প্রতি। সুনীল বলেন, ‘‘গোবিন্দ যে এখন কেন কাজ করে না, আমি তা সত্যিই জানি না।’’
গোবিন্দের মতো প্রতিভাবান অভিনেতা যদি ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে যায়, তবে তা বলিপাড়ারই ক্ষতি বলে মনে করেন সুনীল।
শুধু বড় পর্দাই নয়, বলিপাড়ার বহু তারকাই এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন ছবি বা ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করছেন। গোবিন্দ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিনয় শুরু করতে পারেন বলেও দাবি করেছেন সুনীল।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বলিজগতের কোনও তারকা চান না যে, গোবিন্দ আবার কাজ শুরু করুন। তাই ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাঁকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দ আবার অভিনয় শুরু করলে বলিপাড়ায় তাঁর আধিপত্যের বিস্তার হতে পারে বলেই ধারণা একাংশের। সেই কারণে অনেকে চাননি যে, গোবিন্দের খ্যাতি হোক।
গোবিন্দও বলিপাড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে, তাঁর সাফল্য অনেকেই সহ্য করতে পারেননি। তাই তাঁর নামে মিথ্যা কথা ছড়ানো হয়েছিল। এমনকি, ‘অপেশাদার’ তকমাটিও নাকি সকলের মনগড়া। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নাম খারাপ করার জন্যই নাকি এমন পন্থা অবলম্বন করেন বলি তারকারা।