তিন দশকেরও আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অনিল কপূর এবং শ্রীদেবী। তারকাদের অভিনয়, ছবির গান থেকে চিত্রনাট্য সব কিছুই দর্শকের কাছে প্রশংসা কুড়োয়।
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শেখর কপূর। আশির দশকে বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করে শেখরের ছবি। তিন দশক ধরে এই ছবি দর্শকের মনে জায়গা করে রেখেছে।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, প্রায় ৩৬ বছর পর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকি এই ঘটনা যে সত্য তাতে সিলমোহরও দিয়েছেন পরিচালক শেখর।
এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটার) এক নেটব্যবহারকারী শেখরকে উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘‘ছবি এমন তৈরি করা প্রয়োজন যা এক বার দেখার পর আবার দেখতে ইচ্ছা করে। ছবি নির্মাণের সার্থকতা এখানেই নয় কি?’’ ‘জওয়ান’ দেখে আসার পর শেখরকে এই প্রশ্নই করেন নেটব্যবহারকারী।
শেখর জানান, ছবি এমনই এক জিনিস যা বছরের পর বছর বয়ে চলে। মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। শাহরুখ খানও তাঁর কেরিয়ারে এই ধরনের কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন বলে দাবি করেন শেখর।
কথাপ্রসঙ্গে শেখর জানান, তাঁকে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পরিচালনার প্রস্তাবের পাশাপাশি শেখরকে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন পরিচালক।
শেখর বলেন, ‘‘৩০০ কোটি টাকার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে তাঁরা দাবি করেছিলেন যে ছবিমুক্তির তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেই টাকা উঠে আসবে।’’
শেখর অবশ্য নিজের মনেই প্রশ্ন তোলেন। পরিচালক বলেন, ‘‘তিন সপ্তাহ? ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ তিন দশক ধরে বেঁচে রয়েছে।’’ এই কথা বলে নিজের ছবির সাফল্যকেই তুলে ধরেন তিনি।
তবে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আর বিশেষ কিছু জানাননি শেখর। তিনি আদৌ সেই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন কি না তা-ও স্পষ্ট করেননি পরিচালক।
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন বনি কপূর এবং সুরিন্দর কপূর।
‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে সঙ্গীত নির্দেশক হিসাবে কাজ করেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল জুটি।
অনিল এবং শ্রীদেবীর জুটি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির পর জনপ্রিয়তাও পায়। এই ছবির দ্বিতীয় পর্ব তৈরি হলে নতুন তারকা জুটি দর্শকের মন জয় করতে পারে কি না, তা-ও দেখার বিষয়।