আশির দশকে পুরুষদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন দীপক পরাশর। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও নামেন তিনি। অনেকেই তখন মনে করতেন, বলিপাড়ায় দীপকই একমাত্র, যিনি অমিতাভ বচ্চনকে টক্কর দিতে পারবেন। কিন্তু দীপকের কেরিয়ারে সাফল্য এলেও বেশি দিন তা টেকেনি।
আশির দশক থেকে বলিপাড়ায় কাজ শুরু করেছিলেন দীপক। একের পর এক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা তৈরি করে নিচ্ছিলেন তিনি।
শুধু বড় পর্দাতেই নয়, ছোট পর্দাতেও অভিনয় শুরু করেছিলেন দীপক। নব্বইয়ের দশক থেকে ধারাবাহিকে কাজ করতেন তিনি।
দীপক ইন্ডাস্ট্রিতে আসার বহু দিন আগে থেকেই বলিপাড়ায় কাজ করছিলেন রাজ বব্বর। কিন্তু দীপক ফিল্মজগতে আসার পরে যেমন চটজলদি সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন, তা দেখে মনে মনে হিংসা করতেন রাজ। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছিলেন দীপক।
১৯৮৯ সালের মে মাসে এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপক জানান যে, রাজ এবং তাঁর সহকারী দু’জনেই নাকি দীপকের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতেন।
দীপকের দাবি, তিনি যখন একের পর এক হিন্দি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন, সেই মুহূর্তে রাজ বি গ্রেড ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেতেন।
এ গ্রেড ছবিতে কাজ করলেও রাজকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হত বলে সাক্ষাৎকারে জানান দীপক। এমতাবস্থায় দীপকের সঙ্গেও ছবি করেন রাজ।
১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ কা তরাজু’ ছবিতে রাজ এবং দীপককে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিআর চোপড়া।
রাজ এবং দীপকের জুটি পছন্দ করেছিল দর্শক। তাই ১৯৮০ সালেই ‘আপ তো অ্যায়সে না থে’ ছবিতে আবার একসঙ্গে দেখা যায় দুই অভিনেতাকে।
দু’বছর পর মুক্তি পায় বিআর চোপড়া পরিচালিত ‘নিকাহ’ ছবিটি। এই ছবিতে রাজ এবং দীপক একসঙ্গে অভিনয় করলেও নামডাক হয় শুধুমাত্র দীপকের।
দীপক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘নিকাহ’ ছবিতে কাজ করার পর তাঁর প্রতি রাজের ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে। ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ নাকি হঠাৎ করেই দীপকের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতে শুরু করেন বলে দাবি করেন দীপক
পরে খোঁজ নিয়ে দীপক জানতে পারেন যে, তাঁর নামে অপবাদ ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন রাজ এবং তাঁর সহকারী। এমনকি, দীপকের কাছ থেকে কাজও কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁরা।
দীপকের দাবি, মিথ্যা অপবাদ এত ছড়ানো হয়েছিল যে, বলিপাড়ার সকলে রাজের কথাই বিশ্বাস করেছিলেন। দীপকের উপর কেউ ভরসা করতে পারছিলেন না।
দীপক জানান যে, তাঁর কেরিয়ারে অন্ধকার ডেকে এনেছিলেন রাজ। দীপকের সাফল্যকে হিংসা করতেন বলেই তাঁর ক্ষতি করে বসেন রাজ।
দীপকের দাবি, তাঁর কেরিয়ার নষ্ট না করলে রাজ নিজের কেরিয়ার তৈরি করতে পারতেন না। তাই নিজে সফল হওয়ার জন্য দীপকের কেরিয়ার বরবাদ করে দিয়েছেন রাজ।