আশির দশকের শেষের দিক থেকেই বলিপাড়া দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন গোবিন্দ। একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ১৯৮৭ সালে বিয়ের পর অন্য এক বলি অভিনেতাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। অভিনেতা যে বছর বিয়ে করেন, সেই বছরেই বলিপাড়ায় পা রাখেন সুমিত সায়গল। অনেকে বলতেন, সুমিতের সঙ্গে গোবিন্দের মুখ এবং চেহারার মিল রয়েছে।
১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিল্লু বাদশা’ ছবিতে গোবিন্দের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুমিত। এই ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন নীলম।
গোবিন্দের সঙ্গে ‘দোস্ত গরিবোঁ কা’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় সুমিতকে। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নায়িকাও ছিলেন নীলম।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, সুমিতকে নিয়ে নাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন গোবিন্দ। গোবিন্দ যে ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন অথবা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে কথা দিতে পারতেন না, সেই ছবিগুলির প্রস্তাব দেওয়া হত সুমিতকে।
আট বছর বলি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে ৩০টি ছবিতে কাজ করেছিলেন সুমিত। বলিপা়ড়ার একাংশের দাবি, গোবিন্দ ভেবেছিলেন সুমিত তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিয়ে দেবেন।
নিরাপত্তাহীনতা থেকেই নাকি সুমিতের সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না গোবিন্দ। বলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যায় যে, একটি ছবিতে সুমিতের সঙ্গে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন গোবিন্দ।
কিন্তু ছবিটি কাঁটছাঁট করার সময় সুমিতের সঙ্গে তাঁর অ্যাকশন দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন গোবিন্দ। দর্শক যেন সুমিতকে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে না দেখেন, সেই কারণেই গোবিন্দ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে বলিপাড়ার একাংশের অনুমান।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, ছবি নির্মাতারা একটি ছবিতে সুমিতের সঙ্গে নাচের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্যও প্রস্তাব দিয়েছিলেন গোবিন্দকে। কিন্তু গোবিন্দ নাকি সেই প্রস্তাবও খারিজ করে দেন।
যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি সুমিত। ১৯৯৫ সালে ‘সাজন কি বাহোঁ মে’ এবং ‘সওদা’ ছবিতে শেষ অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
১২ বছর বলিপাড়ার আলোর রোশনাই থেকে দূরে থাকার পর আবার ফিরে আসেন সুমিত। একটি মিউজ়িক ভিডিয়ো পরিচালনা করেন তিনি।
২০১০ সালে ‘রক’ নামে একটি হরর ঘরানার ছবি প্রযোজনা করেছিলেন সুমিত। তনুশ্রী দত্ত এবং উদিতা গোস্বামী এই ছবির নায়িকা ছিলেন। কিন্তু বক্স অফিস থেকে এই ছবি উপার্জন করতে পারেনি।
বর্তমানে নিজস্ব একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন সুমিত। দক্ষিণী ছবিগুলিকে হিন্দি ভাষায় ডাব করার কাজ করে এই সংস্থা। ১৯৯০ সালে বলি অভিনেত্রী সায়রা বানুর ভাইঝি শাহিনকে বিয়ে করেন সুমিত।
কিন্তু সুমিত এবং শাহিনের সম্পর্ক টেকেনি। ২০০৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই বছরেই অভিনেত্রী ফারহা নাজ়কে বিয়ে করেন সুমিত।
সুমিত এবং শাহিনের বিয়ের সাত বছর পর কন্যাসন্তান শায়েশার জন্ম হয়। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শায়েশাও এখন অভিনয়জগতে কাজ করছেন।