আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হিন্দি ফিল্মজগতে পা রাখেন বলি অভিনেতা গোবিন্দ। প্রায় চার দশক ধরে বলিপাড়ায় থেকে দেড়শোটিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
কৌতুকাভিনেতা হিসাবে জনপ্রিয় গোবিন্দ অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের মাধ্যমেও দর্শকের মন জেতেন। নিজের কেরিয়ার আরও পোক্ত ভাবে গড়ে তুলবেন বলে নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন অভিনেতা।
কিন্তু নাচ শেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না গোবিন্দের। একরকম বাধ্য হয়েই নাচ শিখেছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানান অভিনেতা।
সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানান, তিনি যে কোনও দিন নাচ শিখবেন, তা নিয়ে কোনও রকম চিন্তাভাবনা করেননি তিনি। বলিপাড়ায় নিজের কেরিয়ার বাঁচাতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেতা।
গোবিন্দ জানান, তিনি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন, তখন মিঠুন চক্রবর্তী এবং অমিতাভ বচ্চনের মতো তাবড় তারকারা রাজত্ব করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অন্য পথ খুঁজছিলেন গোবিন্দ।
সংসারের খরচ চালানোর জন্য গোবিন্দ বাধ্য হয়ে নাচ শিখেছিলেন। তাঁর ধারণা হয়েছিল যে, নাচ না জানলে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারবেন না।
সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে টিকে থাকার জন্য কিছু আলাদা করতেই হত। অমিতাভ বচ্চন এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মতো শীর্ষে থাকা অভিনেতারা অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন। সেখানে আমি নিজের জায়গা কী করে তৈরি করব তা নিয়েই ভাবতাম।’’
অভিনয় ছাড়া আর অন্য কোন পেশা নিয়ে এগিয়ে যাবেন তার দিশাও ছিল না গোবিন্দের কাছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অভিনয় ছাড়া আর কী ভাবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলব, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলাম।’’
অভিনেতার এক বন্ধু তাঁকে জানিয়েছিলেন, অভিনয় ছাড়া গোবিন্দের ছবির নাচগুলি নিয়েও চর্চা হয়। গোবিন্দ বলেন, ‘‘‘আপ কে আ জানে সে’, ‘আই অ্যাম অ্যা স্ট্রিট ডান্সার’, ‘বাম বাম বাম্বাই’-এর মতো গানগুলি সুপারহিট হয়েছিল। তাই আমি নাচ শেখার সিদ্ধান্ত নিই।’’
৫৯ বছর বয়সি গোবিন্দ স্বীকার করেন যে, নাচ শেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি খুব একটা ভুল করেননি। অভিনেতার পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসাবেও রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
নাচের জন্য গোবিন্দের নামপরিচিতি হওয়ায় ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র, শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং রাজেশ খন্নার মতো বলি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
গোবিন্দ জানান, বলিপাড়ার খ্যাতনামী অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার পর তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সারির অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন।
গোবিন্দের দাবি, কোনও কিছুই আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখেননি তিনি। কেরিয়ার সংক্রান্ত সব কিছুই নিজ নিজ ছন্দে এগিয়ে গিয়েছিল।