বলিপাড়ায় সফল অভিনেতাদের তালিকায় নিজের নাম না লেখালেও হিন্দি ফিল্মজগতের অভিনেত্রীদের মনে জায়গা করে ফেলেছিলেন বিনোদ খন্নার পুত্র অক্ষয় খন্না। সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া সেন থেকে শুরু করে বলিসুন্দরী ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গেও নাকি মনের আদানপ্রদান করেছিলেন বিনোদ-পুত্র। কিন্তু কোনও সম্পর্কই বেশি দিন টেকেনি।
তবে কপূর পরিবারের এক কন্যার সঙ্গে বহু দিন সম্পর্কে ছিলেন অক্ষয়। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, রণধীর কপূর নাকি তাঁর কন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও নিয়ে গিয়েছিলেন অক্ষয়ের কাছে। কিন্তু অন্য এক মহিলার কারণে অক্ষয়ের বিয়ে শুধুমাত্র ভাঙেই না, সম্পর্কও ভেঙে যায়।
অক্ষয় তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, করিশ্মা কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অক্ষয়। একাংশের দাবি, অজয় দেবগনের সঙ্গে প্রথমে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু দুই তারকার রসায়ন জমে না ওঠায় সম্পর্কে ইতি টানতে হয়।
অজয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই নাকি অক্ষয়ের সঙ্গে মেলামেশা বেড়ে যায় করিশ্মার। এই বন্ধুত্বই পরে ভালবাসার সম্পর্কে পরিণত হয়। নিজেদের সম্পর্কের কথা গোপনই রেখেছিলেন করিশ্মা এবং অক্ষয়।
কিন্তু কপূর পরিবার কোনও ভাবে অক্ষয় এবং করিশ্মার সম্পর্কের কথা জানতে পারে। করিশ্মার জীবনসঙ্গিনী হিসাবে অক্ষয়কে পছন্দ করেন অভিনেত্রীর বাবা রণধীর কপূরও।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, অক্ষয়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাবও নিয়ে গিয়েছিলেন রণধীর। করিশ্মা এবং অক্ষয়ের বিয়ের কথা এগোতে যাওয়ার মুহূর্তেই বাধা দেন বলিপাড়ার এক অন্য অভিনেত্রী।
ষাট থেকে সত্তর দশকের মধ্যে একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় ববিতা কপূরকে। ১৯৭১ সালে রণধীর কপূরের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। তার পর অভিনয় জগৎ থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকেন তিনি।
করিশ্মা এবং অক্ষয়ের বিয়েতে বাধা দিয়েছিলেন ববিতা। কেরিয়ার ছেড়ে দুই কন্যা করিশ্মা এবং করিনাকে নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন ববিতা। মা হিসাবে তিনি কখনও চাননি যে তাঁর কন্যারাও কেরিয়ার ছেড়ে সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুক।
তাই অক্ষয় এবং করিশ্মার বিয়ের কথা পাকা হওয়ার আগে সে বিষয়ে অমত প্রকাশ করেন ববিতা। করিশ্মার বিয়ে দিতে রাজি নন সে কথা সরাসরি জানান তিনি।
অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন করিশ্মা। সে সময় করিশ্মা যদি বিয়ে করতেন তবে সবচেয়ে বেশি তার প্রভাব পড়ত অভিনেত্রীর কেরিয়ারেই।
করিশ্মার কেরিয়ার নষ্ট হোক তা চাননি ববিতা। তাই তিনি জানান, করিশ্মা বিয়ে করলে তাঁর কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অক্ষয়কে বিয়ে না করাই ভাল বলে দাবি করেছিলেন ববিতা।
ববিতা তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকায় করিশ্মা এবং অক্ষয়ের বিয়ের কথা গোড়াতেই থেমে যায়। এমনকি, এর প্রভাব তাঁদের সম্পর্কেও পড়তে থাকে। এর পর করিশ্মার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন অক্ষয়।
এর পর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান করিশ্মা। তাঁদের বাগ্দান পর্বও সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেই সম্পর্কও পরিণতি পায়নি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ববিতা চাননি যে তাঁর কন্যা বিয়ে করুক। তাই অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের পাকাকথা হয়ে থাকলেও তা ভেঙে যায়।
তার পর ২০০৩ সালে দিল্লির শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশ্মা। বহু বছর এক ছাদের তলায় থেকেও সঞ্জয়ের সঙ্গে করিশ্মার সম্পর্ক টেকেনি। ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।