নায়কের কেরিয়ারের প্রথম ছবি। সেই ছবির নায়িকার সঙ্গেই প্রেম। কিন্তু সম্পর্কে থাকাকালীনই অন্য তরুণীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন নায়ক। তাই প্রেম ভেঙে যায় বলিউডের অভিনেত্রী তব্বুর। এখনও অবিবাহিত রয়েছেন ৫২ বছরের অভিনেত্রী। তবে সেই নায়ক তব্বুর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে বিয়ে করেছেন তাঁদের সম্পর্কের মাঝে আসা তৃতীয় জনকে।
১৯৯৫ সালে বনি কপূরের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘প্রেম’। এই ছবিতে তব্বুর বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় বলি অভিনেতা সঞ্জয় কপূরকে। বলিউডে তখন সঞ্জয় নবাগত।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘প্রেম’ ছবির কাজ সম্পূর্ণ করতে ছ’বছর সময় লেগেছিল বনির। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেই নাকি ছবির নায়ক-নায়িকা প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পর সম্পর্ক ভেঙেও দেন।
কানাঘুষো শোনা যায়, ‘প্রেম’ ছবির শুটিং চলাকালীন বন্ধুত্ব হয়েছিল সঞ্জয় এবং তব্বুর। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেমের শুরু। একসঙ্গে নানা জায়গায় দেখা যেত তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যে সম্পর্কে ছিলেন, সে কথা প্রকাশ্যে জানাতেন না।
অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, ‘প্রেম’ ছবি মুক্তি পাওয়ার সময় নাকি তব্বু এবং সঞ্জয় একে অপরের সঙ্গে কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনকি, দুই তারকার মনোমালিন্যের কারণে ছবির কাজও নাকি পিছিয়ে যাচ্ছিল।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তব্বু জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য এক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। তব্বুকে ঠকিয়েছিলেন অভিনেতা। এমনটাই দাবি করেছিলেন নায়িকা।
বলিউডের গুঞ্জন, তব্বুর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন মাহীপ কপূরের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল সঞ্জয়ের। তা জানাজানি হওয়ার পরেই নাকি দুই তারকার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এমনকি এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেছিলেন, ‘‘প্রেম ছবির শুটিং শুরুর সময় আমি আর তব্বু ডেট করছিলাম। ছবি যখন মুক্তি পেল, তখন আমরা আর কথা বলতাম না।’’
১৯৯৭ সালে সঞ্জয়কে বিয়ে করেন মাহীপ। সঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মাহীপ এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমি সঞ্জয়ের সঙ্গে একটা রাত কাটিয়েছিলাম। তার পরেই আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়।’’
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল সঞ্জয়ের। কানাঘুষো শোনা যায়, ‘সির্ফ তুম’ ছবির শুটিংয়ের সময় ছবির নায়িকা সুস্মিতার প্রেমে পড়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি দুই তারকা।
অন্য দিকে বলিপাড়ার ছবিনির্মাতা সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল তব্বুর। বলি অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর ভাল বান্ধবী ছিলেন তব্বু। দিব্যার স্বামী ছিলেন সাজিদ। সেই সূত্রেই সাজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তব্বুর।
কানাঘুষো শোনা যায়, দিব্যার মৃত্যুর পর তব্বুর সঙ্গে সাজিদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। ‘জিৎ’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁদের সম্পর্ক দানা বাঁধে। সাজিদকে নাকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন তব্বু।
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, দিব্যার মৃত্যুর পরেও নায়িকাকে ভুলতে পারছিলেন না সাজিদ। তব্বু বার বার তাঁকে অতীত থেকে সরে আসতে বলতেন। কিন্তু সাজিদ তাঁর সঙ্গে তব্বুর সম্পর্কে কোনও ভবিষ্যৎ দেখতেন না। তাই সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন তব্বু।
সাজিদের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর দক্ষিণী অভিনেতা নাগার্জুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তব্বু। সেই সময় বিবাহিত ছিলেন অভিনেতা।
বলিউডের জনশ্রুতি, তব্বুর সঙ্গে ১০ বছর ধরে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন নাগার্জুন। ১০ বছর পর তব্বু বুঝতে পারলেন যে, নাগার্জুন বিবাহবিচ্ছেদ দিয়ে তাঁর সঙ্গে সংসার করবেন না। তাই সেই সম্পর্ক থেকেও বেরিয়ে যান তব্বু। বর্তমানে নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন নায়িকা।