১৯৩৯ সাল। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের প্রভিন্সটাউন শহরের ঘটনা। রাস্তায় হেঁটে বেড়াতে দেখা যায় এক রহস্যময় ব্যক্তিকে।
সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই লম্বা।পরনে কালো জামা। চোখ দুটো দেখলে মনে হয় কালো রঙের গর্ত। চোখের মণি রুপোলি রঙের।
এক নজরে তাঁকে দেখলে বেশ ভয় লাগে। শহরের অনেকেই তাঁকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেও পরক্ষণেই তিনি উধাও হয়ে যান।
এক মিনিট পরেই তিনি শহরের অন্য প্রান্তে পৌঁছে যান। তবে কি তিনি অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী?
রাস্তায় কেউ হেঁটে গেলে তিনি জোরে দৌড়ে তাঁর সামনে এসে মুখ দিয়ে অদ্ভুত আওয়াজ বার করে কিছু বলেন। কারণ ছাড়াই জোরে জোরে হাসেন।
তিনি কোথা থেকে এসেছেন, এই শহরে তিনি কোথায় থাকেন— এই সব বিষয়ে কেউ কিছুই জানেন না।
তবে, তাঁর অদ্ভুত আচরণের জন্য সকলে তাঁকে ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাশ’-এর সঙ্গে তুলনা করেন।
ডিসি কমিক্সের এক জন খলচরিত্রের নাম ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাশ’।
১৯৯৮ সালে ‘ফ্ল্যাশ’ সুপারহিরোর যে কমিক নভেল মুক্তি পেয়েছিল, তার দ্বিতীয় পর্বে এই খল চরিত্রের উল্লেখ রয়েছে।
কমিকজগতের চরিত্রটিও জোরে দৌড়তে পারে। তাঁর পরনেও কালো পোশাক।
এই রহস্যময় ব্যক্তি সকলকে ভয় দেখান বলে তাঁর নাম ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাশ’ রাখেন প্রভিন্সটাউনবাসী।
তবে, এই ব্যক্তিটির আবির্ভাব যতটা রহস্যজনক, ঠিক ততটাই রহস্যজনকভাবে তিনি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।
এর পর আর তাঁকে কোনও দিনই দেখা যায়নি। রহস্য হয়েই থেকে গেল বাস্তবের ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাশ’। তাঁর আসল পরিচয় নিয়ে লোকের মনে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। অনেকে আবার তাঁকে ‘ভিন্গ্রহী’ বলেও মনে করেন।