Nabanna Abhijan

শুরুতে আটক শুভেন্দু, দ্বিতীয় দফায় সুকান্ত, দিলীপ আটকালেন হাওড়া ব্রিজে, তুলকালাম মঙ্গলে

দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, নবান্ন অভিযান শেষ। যদিও সেই নিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি হয় সংশয়। সুকান্ত জানিয়ে দেন, তাঁদের অবস্থান চলবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:০৮
Share:
০১ ২০

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে টানটান উত্তেজনা। শহরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। তাতে পিছপা হয়নি বিজেপি কর্মীরা। বেলা যত গড়িয়েছে, দুই পক্ষের সংঘর্ষ তত বেড়েছে। আটক হয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উত্তেজনা তুঙ্গে থাকতেই বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে নবান্ন অভিযানে ইতি বলে জানান। ঘড়িতে তখন দুপুর ২টো ৪০ মিনিট।

০২ ২০

মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য জেলা থেকে এসেছেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী। তাঁদের জন্য আস্ত ট্রেন ভাড়া করেছিল বিজেপি।

Advertisement
০৩ ২০

যদিও অভিযোগ, উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের ট্রেন ধরতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। স্টেশন ব্যারিকেড করে রাখার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। কোচবিহার, তুফানগঞ্জ, মালবাজার, শিলিগুড়ি জংশনে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, শাসকদলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ।

০৪ ২০

কলকাতায় জারি ছিল কড়া নিরাপত্তা। সাঁতরাগাছির কাছে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে রাস্তা খুঁড়ে লোহার বিম ঝালাই করে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল।

০৫ ২০

শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। ১৮ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকও নজরদারি চালিয়েছেন। গোটা নিরাপত্তা পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন বিশেষ কমিশনার দময়ন্তী সেন।

০৬ ২০

দ্বিতীয় হুগলি সেতু-সহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিজেপির অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ট্র্যান্ড রোডেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ সবের জেরে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

০৭ ২০

কড়া নিরাপত্তার পরেও সংঘর্ষ ঠেকানো যায়নি। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি স্টেশনে ব্যারিকেড ভেঙে ট্রেনে উঠে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।

০৮ ২০

নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। তীব্র যানজট শুরু হয়।

০৯ ২০

বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ স্পষ্টই বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এত পুলিশ এল কোথা থেকে? কয়লার গাড়ি, গরুর গাড়ি গেলে পুলিশ দেখা যায় না। পাড়ায় বোম পড়লে থানায় ফোন করলে বলে ফোর্স নেই। আজ এত পুলিশ কি বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে এল?’’ তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, বাধা এলে রাস্তায় বসে ধর্না দেবেন তাঁরা।

১০ ২০

মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীকে মিছিল শুরু করার আগেই আটক করা হয়। সাঁতরাগাছিতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিন্‌হাকে। এর পরেই শুভেন্দুকে প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়।

১১ ২০

এর পর যে মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর, তা এগিয়ে নিয়ে যান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মঙ্গলবার শুভেন্দুর আর দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া হয়নি।

১২ ২০

শুভেন্দুকে আটক করা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুকে যে ভাবে আটক করা হয়েছে, তা অন্যায়।’’

১৩ ২০

এর পর হাওড়া ময়দান থেকে মিছিল শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘গুলি খেতে তৈরি।’’

১৪ ২০

কিছু পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়।

১৫ ২০

এ সবের মধ্যে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতারাগাছি। পুলিশ আর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ চরমে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

১৬ ২০

সাঁতরাগাছির আঁচ এসে পড়ে হাওড়া। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত মজুমদার।

১৭ ২০

পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন বিজেপি কর্মীদের মিছিল পথ বদলে এমজি রোড ধরে হাওড়া ব্রিজের দিকে এগোনোর পরিকল্পনা নেয়। হাওড়া ব্রিজে পুলিশের জলকামানের মুখে পড়ে সেই মিছিল। দিলীপের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, রাজু বিস্ত। বেশ কয়েক জন আহত হন।

১৮ ২০

নবান্ন অভিযানে গিয়ে মাথা ফাটে বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। বড়বাজার এলাকায় তাঁদের মিছিল আটকায় পুলিশ। বাধা অমান্য করে নবান্নের দিকে এগোতে থাকে মিছিল। তখনই শুরু হয় দুই পক্ষের টানাপড়েন। তাতে আহত হন মীনাদেবী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

১৯ ২০

দুপুর ২টো ৪০ মিনিটে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, নবান্ন অভিযান শেষ। যদিও সেই নিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি হয় সংশয়। কারণ সুকান্ত জানিয়ে দেন, তাঁদের অবস্থান চলবে।

২০ ২০

দিলীপের ঘোষণার পরেও এমজি রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। আটক হন সুকান্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement