কুকুর না খাওয়ায় সেই একই বিস্কুট এক কংগ্রেস কর্মীকে খেতে দিলেন রাহুল গান্ধী। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। মন্তব্য করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। দাবি, তাঁর সঙ্গেও নাকি এমন করেছিলেন রাহুল!
প্লেটে ভর্তি বিস্কুট। তা খেতে দেওয়া হয়েছিল একটি সারমেয়কে। কিন্তু কুকুরটি সেই বিস্কুট খেতে না চাওয়ায়, সেটাই এক কংগ্রেস কর্মীকে খেতে দেন রাহুল গান্ধী!
সোমবার গভীর রাতে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় এমনই এক ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
যা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অমিত মালবীয়ের পোস্ট করা এই ভিডিয়ো নিয়ে আসরে নামে বিজেপি। এমনকি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও ভিডিয়ো নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। টেনে এনেছেন ‘পুরনো’ প্রসঙ্গও। যা এই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি লাল রঙের হুডখোলা গাড়িতে চড়ে যাচ্ছেন রাহুল। সঙ্গে আছেন অনেকে।
তাঁদের মধ্যে ছিল একটি কুকুরও। তার সামনে রাখা বিস্কুটের প্লেট। ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ সেই কুকুরকে প্যাকেট থেকে বিস্কুট খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু কুকুরটি তা খেতে চাইছে না।
মাথা নেড়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখন সেই বিস্কুটই গাড়িতে থাকা অন্য এক কংগ্রেস কর্মীর হাতে দেন রাহুল! বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাটি রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র সময়কার।
এই ভিডিয়ো পোস্ট করে অমিত মালবীয় লেখেন, ‘‘মাত্র কয়েক দিন আগে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গেজি দলীয় বুথ এজেন্টদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এখানে রাহুল গান্ধী তাঁর সফরের সময় একটি কুকুরকে বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন। তবে যখন কুকুরটি বিস্কুট খায়নি, তখন তিনি সেটা তাঁর দলের কর্মীকেই দিয়েছেন।’’
এখানেই থেমে থাকেননি অমিত। তিনি আরও লেখেন, ‘‘কোনও দলের সভাপতি এবং ‘যুবরাজ’ যদি তাঁর দলের কর্মীদের কুকুর ভেবে সেই রকম আচরণ করেন, তবে সেই দলের বিলুপ্ত হওয়াই স্বাভাবিক।’’
বিজেপি নেত্রী পল্লবী সিটি আবার গান্ধী পরিবারকে ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সেই সঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘এক সময় হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও রাহুল গান্ধী তাঁর পোষা কুকুর পিডি-র প্লেটে বিস্কুট খেতে বাধ্য করেছিলেন।’’
এখানেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হিমন্ত। তিনি লেখেন, ‘‘শুধু রাহুল গান্ধী নন, পরিবারের কেউই আমাকে সেই বিস্কুট খাওয়াতে পারেনি। আমি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলাম।’’
যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।