Vande Bharat Express

বন্দে ভারত চড়বেন তো? তার আগে এই ট্রেনকে চিনে নিন ‘ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে’

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২০২৩ সালের ১৫ অগস্টের মধ্যে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে। পাঁচটি রুটে আগে চালু হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ পেল দেশের ষষ্ঠ বন্দে ভারত ট্রেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৪২
Share:
০১ ১৭

৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। হাওড়া স্টেশনে সশরীরে হাজির থেকে এই ট্রেন উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেনের মৃত্যু হওয়ায় সশরীরে এই উদ্বোধন কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। তবে তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন।

নিজস্ব চিত্র।

০২ ১৭

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী ঘোষণা করেছিলেন ২০২৩ সালে ১৫ অগস্টের মধ্যে দেশে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে। তার মধ্যে ৫টি রুটে এই ট্রেন আগেই চালু হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ পেল দেশের ষষ্ঠ বন্দে ভারত ট্রেন।

Advertisement
০৩ ১৭

পশ্চিমবঙ্গে এই ট্রেন চলবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। দেশের বাকি ৫টি যে রুটে এই ট্রেন চালু হয়েছে তা হল— প্রথম ট্রেনটি চালু হয়েছে নয়াদিল্লি-বারাণসী রুটে, দ্বিতীয়টি নয়াদিল্লি থেকে শ্রী বৈষ্ণদেবী মাতা কাটরা, তৃতীয় গান্ধীনগর থেকে মুম্বই, চতুর্থ নয়াদিল্লি থেকে আম্ব আন্দউরা স্টেশন হিমাচল, পঞ্চম চেন্নাই থেকে মাইসুরু।

ফাইল চিত্র।

০৪ ১৭

পশ্চিমবঙ্গে বন্দে ভারত নিয়ে উৎসাহ আর কৌতূহলের অন্ত ছিল না। হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু করে ষষ্ঠ বন্দে ভারত।

নিজস্ব চিত্র।

০৫ ১৭

বন্দে ভারত উদ্বোধন ঘিরে হাওড়া স্টেশনে ছিল সাজ সাজ রব। নিরাপত্তাও ছিল আঁটসাঁট। ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পাতা হয়েছিল লাল কার্পেট। সাজানো হয়েছিল ফুল দিয়েও।

নিজস্ব চিত্র।

০৬ ১৭

বন্দে ভারত উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে হাজির না থাকলেও, এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির শীর্ষ স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন।

নিজস্ব চিত্র।

০৭ ১৭

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আমদাবাদ থেকে ভার্চুয়ালি সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

০৮ ১৭

সফরের শুরুর দিনে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে মোট ১৮টি জায়গায় দাঁড়ানোর কথা রয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।

০৯ ১৭

হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মাঝে যে জায়গায় প্রথম দিন ট্রেনটি দাঁড়ায় সেই জায়গাগুলি হল, ডানকুনি, কামারকুণ্ডু, মসাগ্রাম, বর্ধমান, খানা, বোলপুর, আহমদপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, চাতরা, নিউ ফরাক্কা, মালদা টাউন, মুকুরিয়া, বারসোই, কিষাণগঞ্জ, আলুয়াবাড়ি রোড।

নিজস্ব চিত্র।

১০ ১৭

বন্দে ভারত ট্রেন হাওড়া ছেড়ে ডানকুনি স্টেশনে পৌঁছয় দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে। ডানকুনি স্টেশনে থামতেই বন্দে ভারতে উঠে পড়েন প্রচুর মানুষ। প্রতি স্টেশনে ২ মিনিট করে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও ডানকুনিতে কিন্তু এই পরিস্থিতির জেরে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চাকা গড়ায়নি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ ডানকুনি ছাড়ে ট্রেনটি। তার পর কামারকুণ্ডু, মসাগ্রাম হয়ে বর্ধমান পৌঁছয়।

১১ ১৭

ডানকুনির পর বোলপুরেও বন্দে ভারত ট্রেনে ওঠার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যদিও রেলসুরক্ষা কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেন।

নিজস্ব চিত্র।

১২ ১৭

উদ্বোধনের দিনে ১৮টি জায়গায় দাঁড়ানোর কথা থাকলেও ট্রেনটির মূল স্টপেজ তিনটি। রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অন্য সাধারণ দিনে হাওড়া এবং নিউ জলপাইগুড়ির মাঝে বোলপুর (শান্তিনিকেতন), মালদা টাউন এবং বারসোই স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন।

নিজস্ব চিত্র।

১৩ ১৭

আপ ২২৩০১ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছাড়বে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। আবার ডাউন ২২৩০২ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে দুপুর ২টো ৫০ মিনিটে। হাওড়া পৌঁছবে রাত ১০টা ২০ মিনিটে। সপ্তাহে ৬ দিন চলবে এই ট্রেন।

ফাইল চিত্র।

১৪ ১৭

ট্রেনের গতিবেগ কত? খাতায় কলমে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৮০ কিলোমিটার। কিন্তু হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের সীমা পেরোবে না। বস্তুত, এই গতিবেগও সর্বত্র এক রকম থাকবে না। রেল জানাচ্ছে, ডানকুনি থেকে খানা জংশনের মধ্যে বন্দে ভারতের সর্বাধিক গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তার পর রেললাইনের স্বাস্থ্যের কারণেই গতি আর বাড়ানো যাবে না।

১৫ ১৭

উন্নত মানের ১৬ কামরার সম্পূর্ণ বাতানুকূল ট্রেন বন্দে ভারত। ১৪টি সাধারণ চেয়ারকার, দু’টি এগ্‌জ়িকিউটিভ চেয়ারকার রয়েছে এই ট্রেনে। দু’প্রান্তে থাকবেন চালক ও গার্ড। বন্দে ভারতের প্রতিটি কামরায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় এবং সেন্সর নিয়ন্ত্রিত বাতানুকূল ব্যবস্থা। শৌচাগারের কল, ভেস্টিবিউলের দরজাও নিয়ন্ত্রণ করছে সেন্সর। সবই বায়ো-টয়লেট।

ফাইল চিত্র।

১৬ ১৭

আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে যাওয়ার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চেয়ার কারের (সিসি) ভাড়া ১,৫৬৫ টাকা। তবে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার জন্য চেয়ার কারের ভাড়া ১,৪৪৫ টাকা।

ফাইল চিত্র।

১৭ ১৭

এগজ়িকিউটিভ চেয়ার কার (ইসি)-এর ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে মাথা পিছু ২,৮২৫ টাকা। এ ক্ষেত্রেও আসার ভাড়া কিছুটা কম। সেই ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে ২,৬৭০ টাকা।

ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement