পাঁচ জন কোরিয়া নিবাসী তরুণীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ৪৩ বছরের অভিযুক্ত বালেশ ধনখড় অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা।
তরুণীদের মাদক খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করার অভিযোগে বালেশকে আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
পেশায় তথ্য বিশেষজ্ঞ বালেশ। অস্ট্রেলিয়ার ‘ওভারসিজ় ফ্রেন্ডস অব দ্য বিজেপি’ দলেরও প্রধান ছিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তরুণীদের মিথ্যা কথার জালে ফাঁসিয়ে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন বালেশ। তার পর ওই তরুণীদের নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে কোনও ভাবে তাঁদের মাদক খাওয়াতেন বলে অভিযোগ।
মাদক খাওয়ানোর পর যখন তরুণীরা অচেতন হয়ে পড়তেন, সেই মুহূর্তে তাঁদের শারীরিক হেনস্থা করতেন বালেশ। অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীদের ধর্ষণ করে নাকি চরম যৌনসুখ পেতেন তিনি।
অভিযোগ, সেই অবস্থায় তরুণীদের ভিডিয়োও করতেন বালেশ। বিছানার পাশে অ্যালার্ম ঘড়ির পাশে লুকিয়ে রাখতেন গুপ্ত ক্যামেরা।
কখনও গুপ্ত ক্যামেরায়, কখনও বা নিজের ফোনেও ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখতেন বালেশ। তল্লাশি চালিয়ে সিডনি পুলিশের হাতে প্রায় এক ডজন ভিডিয়ো এসেছে।
ভিডিয়োগুলি এতটাই ভয়াবহ যা থেকে বালেশের বিকৃত যৌনাচারের রূপ প্রকাশ পেয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে ধর্ষণের মামলা ঘেঁটে দেখলে বালেশকে ‘ভয়ঙ্কর অপরাধী’র তকমা দেওয়া যায়।
সোমবার সিডনির আদালতে পেশ করার পর বালেশ স্বীকার করেন যে, বিয়ে করার পরেও তিনি যৌনসুখ পাচ্ছিলেন না। শরীরের খিদে মিটছিল না বলেই অন্যান্য তরুণীর সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের ধর্ষণ করতেন।
বালেশের দাবি, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পর্ক হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় একাকিত্বে ভুগতে শুরু করেন বলে দাবি করেন বালেশ।
একাকিত্ব কাটানোর জন্যও নাকি তরুণীদের বাড়িতে ডেকে নিজের শারীরিক চাহিদা মেটাতেন বালেশ।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিজেকে আইনি ভাবে নির্দোষ প্রমাণের জন্য সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন বালেশ। জামিনের আবেদনও করেছিলেন তিনি।
কিন্তু আদালতের তরফে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। মে মাসে আবার বালেশকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকেই নাকি তরুণীদের যৌন হেনস্থা করে চলেছেন বালেশ। তাঁর কাছে প্রতিটি মহিলার নামে আলাদা আলাদা ‘ফোল্ডার’ রাখা রয়েছে।
এমনকি, ৯৫ মিনিটের একটি ভিডিয়োও পেয়েছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বালেশকে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি জানান, এগুলি নীলছবি ছাড়া কিছুই নয়। এর সঙ্গে তরুণীদের অচেতন করার কোনও যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছেন বালেশ।