আগামী দু’বছর নাকি দম ফেলারও ফুরসত নেই প্রভাসের। হাতে রয়েছে বড় বাজেটের পাঁচ-পাঁচটি ছবির কাজ। এক বার সে সব ফিল্মের কাজ শেষ হলেই হল! প্রযোজকেরা জানিয়েছেন, দেশের চৌহদ্দির মধ্যে তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও সেগুলি দেখানো হবে।
তেলুগু বা কন্নড়ের পাশাপাশি হিন্দিতেও মুক্তি পাবে প্রভাসের ছবি। সব মিলিয়ে সেগুলি তৈরির খরচই নাকি দে়ড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে পাঁচটির মধ্যে একটি ছবি করতে কত টাকা পারিশ্রমিক হেঁকেছেন প্রভাস?
মাত্র একটি ফিল্মের নায়কের ভূমিকায় থাকতে যে দর হেঁকেছেন তা শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগা়ড়! হবে না-ই বা কেন? 'বাহুবলী' সিরিজের দু’টি ছবি দিয়েই যে বক্স অফিসে সাফল্যের নয়া সংজ্ঞা লিখেছেন প্রভাস!
অমরেন্দ্র বাহুবলীর কীর্তি দেখতে সিনেমা হলে বার বার ছুটে গিয়েছেন প্রভাসের ভক্তেরা। মাত্র এক সপ্তাহেই তা দুনিয়া জুড়ে ৬০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেছিল। আর সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ঘরে তুলেছিলেন প্রযোজকেরা।
‘বক্স অফিস ইন্ডিয়া’ নামে একটি ওয়েবসাইটের দাবি, ২০১৫ সালে দেশের ১৬০০সিনেমা হলে দেখানো হয়েছিল প্রভাসের ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’। এস এস রাজামৌলির ওই ফিল্মটি প্রথম সপ্তাহান্তেই ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল।
‘বাহুবলী’-র সাফল্যের পর তুমুল হিট সিরিজের পরের ছবিটিও। ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন’-এর ব্যবসা কত? বিশ্বজোড়া সিনেমা হল থেকে আয় ১ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকারও বেশি।
‘বাহুবলী’-অধ্যায়ের পর প্রভাসের দোরগোড়ায় যে প্রযোজকদের লম্বা লাইন পড়ে যাবে, তা স্বাভাবিক। তবে সকলকে তো একসঙ্গে খুশি করতে পারা যায় না! তাই বেছে বেছে কয়েকটি ফিল্মে কাজ করা স্থির করেন তিনি।
চলতি মাসেই মুক্তি পেতে পারে প্রভাসের ফিল্ম ‘রাধে শ্যাম’। এপ্রিলে আসতে পারে ‘সালার’। অগস্টে দেখা যেতে পারে ‘আদিপুরুষ’। এতেই শেষ নয়। আর একটি ফিল্মের নাম এখনও ঠিক হয়নি। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে সেটিও দিনের আলো দেখতে পারে। রয়েছে ‘স্পিরিট’ নামে আরও একটি ছবি।
তবে যে ফিল্মের জন্য আজকাল ‘পেজ থ্রি’-র পাতায় ঘোরাফেরা করছে প্রভাসের নাম, সেটি হল ‘স্পিরিট’। নিজের কেরিয়ারের ২৫ নম্বর ফিল্মটি নিয়ে হইচই তো হবেই। এ আর এমন কী!
শুধুমাত্র ২৫ নম্বর ফিল্ম বলে নয়, ‘স্পিরিট’-এর জন্য নিজের পারিশ্রমিকের অঙ্কও বাড়িয়ে দিয়েছেন ‘বাহুবলী’।
সাধারণত এক-একটি ফিল্মের জন্য ১০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন প্রভাস। তবে সন্দীপ রেড্ডি বাঙ্গার ‘স্পিরিট’-এ তা আরও ৫০ কোটি টাকা বাড়িয়েছেন।
হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন। মাত্র একটি ফিল্মে কাজের জন্য দেড়শো কোটি টাকা নিচ্ছেন প্রভাস। এ ফিল্মের পরিচালক তুলনামূলক ভাবে আনকোরা। তবে সফল বটে। প্রথম ফিল্ম তেলুগুতে ‘অর্জুন রেড্ডি’। এর পরেরটি অবশ্য হিন্দিতে। তা-ও আবার ‘অর্জুন রেড্ডি’-র রিমেক— ‘কবীর সিং’। সেটিও তুমুল সফল।
‘স্পিরিট’-এ প্রভাসের পাশে নায়িকা হিসেবে কে রয়েছেন? শোনা যাচ্ছে, করিনা কপূর খান থাকতে পারেন। তবে হিন্দি এবং তেলুগু ছাড়াও তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, জাপানি এবং কোরীয় ভাষাতেও এর সংলাপ শুনতে পারবেন প্রভাস-ভক্তেরা!