এতদিন স্থান হয়েছিল ফাইবারের তৈরী অস্থায়ী মন্দিরে। কিন্তু নতুন মন্দিরে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠার পরে কোথায় যাবেন পুরনো রামলালা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের একাংশের মনে। খোলসা করলেন ট্রাস্ট প্রধান।
আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিশু রামের (রামলালা) মূর্তি নিজের হাতে বহন করে এনে অযোধ্যার নতুন রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করবেন।
এর পরে কী হবে কয়েকশো মিটার দূরে অস্থায়ী মন্দিরে পূজিত রামলালার বিগ্রহের? তা নিয়ে এত দিন জল্পনা চলছিল সরযূ তীরের মন্দিরনগরীতে।
সোমবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’।
ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সোমবার বলেছেন, ‘‘নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহেই অস্থায়ী মন্দিরে দীর্ঘ দিন ধরে পূজিত রামলালার মূর্তির স্থান হবে।’’
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে বিতর্কিত কাঠামোয় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আশির দশকে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশে শুরু হয় পূজার্চনা।
১৯৯২ সালে বিতর্কিত বাবরি মসজিদ কাঠামো ধ্বংসের পরে রামলালার স্থান হয়েছিল তাঁবুর নীচে। ১৯৯২ থেকে শুরু করে রামমন্দিরের পক্ষে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের রায়দান পর্যন্ত তাঁবুর নীচেই চলত রামলালার পুজো।
রামমন্দিরের কাজ শুরু হওয়ার আগে ২০২০ সালের মার্চে কয়েকশো মিটার দূরে ফাইবারের তৈরি অস্থায়ী মন্দিরে রুপোর সিংহাসনে রামলালার সেই বিগ্রহ নতুন করে প্রতিষ্ঠা হয়।
সে বছর অগস্টে রামমন্দিরে ভূমিপুজো করতে এসে এই মন্দিরের সামনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছিলেন।
এখনও সেখানেই ভক্তেরা রামলালার দর্শন করতে আসছেন। আগামী ২২ জানুয়ার নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে নয়া বিগ্রহের সঙ্গেই ঠাঁই পাবেন ‘পুরনো রামলালা’ও।