Anjali Arora

Anjali Arora: টাকা নিয়ে রুশ হোটেলকর্মীর সঙ্গে নিশিযাপন! এমএমএস-কাণ্ডের আগেও বিতর্কে জড়ান অঞ্জলি

আজকাল একটি ভাইরাল এমএমএস বিতর্কের আঁচ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত অঞ্জলি অরোরা। তবে আগেও বহু বার তাঁর ‘বেফাঁস’ কথায় বিতর্কে ছড়িয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২২ ০৯:০২
Share:
০১ ১৬

সে অর্থে বলিউডের পর্দাকাঁপানো তারকা নন। পুঁজি বলতে, গুটিকয়েক মিউজিক ভিডিয়ো। এবং অবশ্যই কঙ্গনা রানাউতের রিয়্যালিটি শো— ‘লক আপ’। তাতে কী! অঞ্জলি অরোরাকে অস্বীকার করার জো আছে কি?

০২ ১৬

ইউটিউব হোক বা টিকটকের রিল, মোজ অথবা ইনস্টাগ্রামের পাতা— সবেতেই ছেয়ে গিয়েছেন দিল্লির এই যুবতী। আজকাল অবশ্য একটি ভাইরাল এমএমএস বিতর্কের আঁচ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত অঞ্জলি। তবে সে বিতর্কের আগেও বহু বার তাঁর ‘বেফাঁস’ কথায় বিতর্কে ছড়িয়েছে।

Advertisement
০৩ ১৬

ভুবন বাদ্যকারের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের ছন্দে ঝড় তোলা অঞ্জলিকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন ‘লক আপের’ ভক্তেরা। কঙ্গনার ‘জেলে বন্দি’ থাকতে গিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। আর চড়চড় করে বেড়েছে অঞ্জলির জনপ্রিয়তার পারদ।

০৪ ১৬

কখনও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির সঙ্গে দুষ্টুমিষ্টি প্রেম তো কখনও নিজের যৌনজীবন নিয়ে খুল্লামখুল্লা ‘স্বীকারোক্তি’। অঞ্জলিকে যে অস্বীকার করার জো নেই, তা বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

০৫ ১৬

‘লক আপে’ থাকাকালীন অঞ্জলি এক বার বলে বসেন তাঁর রাশিয়া সফরের কথা। যা শোনার পর অনেকেরই চোখ কপালে! তাঁর সোজাসাপ্টা কথা— ‘‘ডিসেম্বরে রাশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন আমি সিঙ্গল। সেখানকার হোটেলের রিসেপশনিস্টকে দারুণ লাগত। এক শনিবারের রাতে আমি ওর থেকে পাঁচ হাজার রুবল (ভারতীয় মুদ্রায় আড়াই হাজার টাকা) নিয়েছিলাম।’’

০৬ ১৬

এখানেই থেমে থাকলে বোধ হয় অঞ্জলির রুশ সফর নিয়ে এত হইচই হত না। তবে তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। অঞ্জলি বলে চলেন সেই রাতের কথা— ‘‘আমার শুধু টাকার দরকার ছিল। আমাকে সে অর্থ দিয়েছিল। তার পর রাতভর দু’জনে একসঙ্গে পার্টি করেছিলাম। আমার কোনও বন্ধু সে কথা জানে না। জানি না, মা-বাবা এ কথা শুনে কী বলবে!’’

০৭ ১৬

রুশ হোটেলকর্মীর সঙ্গে কি শুধুই পার্টি করেছিলেন অঞ্জলি? এ নিয়ে অনেকেই তাঁদের কল্পনার ঘোড়দৌড় শুরু করেছিলেন। আর অঞ্জলিকে নিয়ে বিতর্কের নৌকায় জোরদার হাওয়া লেগেছিল।

০৮ ১৬

এতেই শেষ নয়। ‘লক আপে’ মুনাওয়ারকে দেখার পর সটান তাঁকে মনের কথা খুলে বলেছিলেন অঞ্জলি। দুষ্টু লোকেদের অবশ্য দাবি, এ সবই ছিল লোকদেখানো!

০৯ ১৬

কী বলেছিলেন অঞ্জলি? বেশ তো দু’জনে একে অপরের চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতেন। তারই ফাঁকে এক পর্বে অঞ্জলি বলে ফেলেছিলেন, ‘‘আমি তোমাকে ভালবাসি!’’ তা শুনে মুনাওয়ারের মুচকি হাসি বেরিয়েছিল। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘তোমার জন্য মাথার ডাক্তারকে ডাকছি।’’ সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জলির জবাব ছিল, ‘‘হ্যাঁ, তার প্রয়োজন আছে।’’

১০ ১৬

অঞ্জলি এবং মুনাওয়ার— এমন ‘মিষ্টি’ জুটির প্রেম প্রেম ভাব সবে জমে উঠতে শুরু করেছে ‘লক আপে’, সে সময়ই আবার নিন্দকদের হানা। ও সব প্রেমট্রেম যে সবই মিছে, তেমন কথাও ভেসে উঠেছিল নেটমাধ্যমে।

১১ ১৬

মুনাওয়ারের প্রতি তাঁর টান অমোঘ, এমনই দাবি করেছেন অঞ্জলি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘লক আপে থাকার সময় নিজের সমস্ত আবেগ মেলে ধরেছিলাম। ওই খেলার কোনও পর্বেই মিথ্যা কথা বলিনি। মুনাওয়ারের প্রতি আমার টানও অস্বীকার করিনি। এক বার ভালবাসার কথা বলার পর পিছু হঠিনি। মিথ্যা বলে আমার কী লাভ?’’

১২ ১৬

‘লক আপে’ নিজেকে মেলে ধরেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অঞ্জলি। তাঁর সাফ কথা, ‘‘অন্যেরা আমার সম্পর্কে কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না! আমি মনে করি, আপনি সৎ ভাবে কোনও কিছুতে বিশ্বাস করলে লোকে আপনাকে ভালবাসবেই। এমনকি, ভুল করলেও তা মাফ করে দেবে। নিজের আবেগের প্রতি সৎ থাকাকেই গুরুত্ব দিয়েছি। লোকদেখানো কিছু করিনি।’’

১৩ ১৬

‘লক আপ’ থেকে বেরোনোমাত্রই কি মুনাওয়ারের প্রতি তাঁর ‘প্রেম’ উবে গিয়েছিল? না হলে অঞ্জলি কেন তাঁর প্রেমিক আকাশ সনসমবালের সঙ্গে হামেশাই এক ছবিতে দেখা দেন? নেটমাধ্যমে এ প্রশ্নের ছড়াছড়ি। অনেকে তো বলেন, আকাশের সঙ্গেই নাকি তাঁর বাগ্‌দান হয়ে গিয়েছে। তবে এ বারেও অঞ্জলির সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘‘আমার কাছে আকাশ স্পেশাল। আমাদের বন্ধনও বেশ গাঢ়। ওর জন্য আমার হৃদয়ে জায়গা রয়েছে বটে। তবে বাগ্‌দান হয়নি।’’

১৪ ১৬

অঞ্জলি যা-ই বলুন না কেন, ‘লক আপ’ শেষ হতেই আকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটেছিলেন। পরস্পরের পরিবারের সদস্যরাও দেখাসাক্ষাৎ করেছিলেন। তা নিয়ে কম জল্পনা ছড়ায়নি। তবে অঞ্জলির বলেছিলেন, ‘‘গোটা সপ্তাহটা আমার আর আকাশের পরিবারের সঙ্গে দারুণ কাটল। আকাশের পরিবারও তো আমার নিজেরই! খুব মজা করেছি।’’

১৫ ১৬

আজকাল অবশ্য নেটমাধ্যমে ভাইরাল একটি এমএমএস নিয়ে অঞ্জলির দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে। এক জোড়া যুগলের শরীরী মিলনের দৃশ্য ভেসে উঠেছে তাতে। অনেকের দাবি, ওই ভিডিয়ো ক্লিপের তরুণী আসলে অঞ্জলি।

১৬ ১৬

সত্যি নাকি? ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্নের তির এগিয়ে আসতেই ভেঙে পড়েছেন অঞ্জলি। ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননের কাছে সাক্ষাৎকারে কেঁদেকেটে অঞ্জলির দাবি, তাঁর নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। মজা লুটতেই এ ভাবে তাঁর সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সত্য-মিথ্যার বিচারের রায় আসার আগেই অবশ্য আবারও বিতর্কের ঘোলাজলে ডুবে গিয়েছেন অঞ্জলি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement