তিন দিন ধরে মুম্বই শহর ছিল আলোয় ভরা। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর বিয়ে বলে কথা। দীর্ঘকালীন প্রেমিকা রাধিকা মার্চেন্টকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিয়ে উপলক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছিল অম্বানী পরিবার। বিয়ের পর সকলের মনে প্রশ্ন ছিল মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন নবদম্পতি। শেষ পর্যন্ত একান্তযাপন করবেন বলে মধ্য আমেরিকার কোস্টা রিকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে গিয়েছেন অনন্ত এবং রাধিকা। সেই হোটেলে এক রাত কাটাতে খরচ হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই হোটেলে?
দ্য টিকো টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে অনন্ত এবং রাধিকা গত ১ অগস্ট কোস্টারিকার একটি হোটেলে পৌঁছন। প্রতিবেদন সূত্রে খবর, সেই বিলাসবহুল হোটেলটি কোস্টা রিকার ফোর সিজ়ন রিসর্টের কাসা লাস ওলাসে।
প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত এই হোটেলটি ১৮ হাজার ৪৭৫ বর্গফুটের উপর তৈরি। অম্বানীর পুত্র এবং তাঁর পুত্রবধূ এই হোটেলের যে ভিলায় রয়েছেন সেখানে মোট ছ’টি বেডরুম রয়েছে।
রিসর্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, এক রাতের জন্য সেই হোটেলে থাকতে গেলে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। তার পর ঘরের সংখ্যা এবং অতিথিদের জন্য সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী খরচ বাড়তে থাকে।
দ্য টিকো টাইমস সূত্রে জানা যায়, অনন্ত এবং রাধিকা যে ভিলায় রয়েছেন, সেখানে এক রাতের খরচ ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
হোটেলে শিশুদের থাকার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। অতিথিরা যদি সাঁতার কাটতে আগ্রহী হন, তা হলে গভীর সুইমিং পুলে ডুব দিয়ে ইচ্ছাপূরণ করতে পারবেন।
অতিথিদের শরীরচর্চার জন্য হোটেলে রয়েছে বিশাল জিম। সেই জিমে রয়েছে অত্যাধুনিক সমস্ত ব্যবস্থা।
অতিথিরা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে তাঁদের জন্য আলাদা ভাবে রন্ধনশিল্পীও রাখতে পারেন। সেই রন্ধনশিল্পী তখন নির্দিষ্ট অতিথি ছাড়া হোটেলে উপস্থিত অন্য কোনও অতিথির জন্য রান্না করতে পারবেন না।
অতিথিরা আালাদা ভাবে মদ্যপান করতে চাইলে তাঁদের জন্য হোটেলের তরফে ব্যক্তিগত বারের ব্যবস্থা করা হয়।
অতিথিরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী হলে তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষ আয়োজন। হোটেলের তরফে সমুদ্রের বুকে ওয়াটার-স্পোর্টসের আনন্দও উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা।
সম্প্রতি পানামার একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন অনন্ত এবং রাধিকা। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি।
গত ১২ জুলাই মুম্বইয়ের জিয়ো কনভেনশন সেন্টারে বসেছিল অনন্ত-রাধিকার বিয়ের আসর। তিন দিনের এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের একাধিক তারকা, রাজনীতিক, শিল্পপতিরা এসেছিলেন।
বিয়ের পর ‘ভালবাসার শহর’ প্যারিসে উড়ে গিয়েছিলেন অনন্ত এবং রাধিকা। তবে তাঁদের সঙ্গে ছিল অম্বানী পরিবারের অন্য সদস্যেরাও।
প্যারিসে অলিম্পিক্স দেখতে হাজির হয়েছিলেন অম্বানী পরিবারের সদস্যেরা। অনন্ত এবং রাধিকার সঙ্গে ছিলেন মুকেশ অম্বানী, মুকেশ-পত্নী নীতা অম্বানী, মুকেশের কন্যা ইশা অম্বানী এবং তাঁর স্বামী আনন্দ পরিমল। নীতা নিজে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অনন্ত এবং রাধিকার বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান হতে পারে লন্ডনে। তবে সেই অনুষ্ঠানে কাদের নিমন্ত্রণ করা হবে, এমনকি দিনক্ষণ পর্যন্ত জানা যায়নি।