ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে চলেছে রোম্যান্টিক গান। শাহরুখ খানের ছবির। ‘চাহে জিসে দূর সে দুনিয়া, উওহ মেরে করীব হ্যায়’। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের পর হার্দিক পান্ড্য হয়তো ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর হাত শক্ত করে ধরে রয়েছেন এক তরুণী। পরনে পলকা ডট ড্রেস। স্নিগ্ধ হাসি হেসে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন হার্দিক। তরুণী নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় হার্দিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার পর তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দানা বেঁধেছে নেটব্যবহারকারীদের মনে। তবে কি হার্দিকের সংসার সত্যিই ভাঙনের পথে? এই তরুণীর পরিচয়ই বা কী?
তিন-চার দিন আগে প্রাচী সোলাঙ্কি নামের এক তরুণী তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় হার্দিকের সঙ্গে ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ভিডিয়োয় কখনও তাঁকে হার্দিকের হাত ধরে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যাচ্ছে। কখনও বা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ় দিচ্ছেন দু’জনে।
ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রাচী সমাজমাধ্যমের দেওয়ালে লিখছেন, ‘‘বিশ্বকাপের নায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ।’’ সেই বিশেষ মুহূর্তটিকে ‘ফ্যানগার্ল মোমেন্ট’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। হার্দিক যে বাস্তবেই তাঁর হাত ধরে রয়েছেন তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না প্রাচী। লিখছেন, ‘‘আমায় কেউ চিমটি কাটো প্লিজ়।’’
হার্দিকের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর রাতারাতি বিতর্ক-সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েন প্রাচী। নেটব্যবহারকারীদের অধিকাংশের মন্তব্য, হার্দিকের সংসারে চিড় ধরানোর নেপথ্যে রয়েছেন প্রাচীই। হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তাঁরা।
বেশ কয়েক মাস ধরেই হার্দিক এবং নাতাশার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা চলছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন গ্যালারিতে দেখা যায়নি নাতাশাকে। জয়ের পর দেশের মাটিতে উৎসবের সময়েও ছিলেন না হার্দিক-পত্নী। জীবনসঙ্গিনীকে দেখা না গেলেও হার্দিকের সঙ্গে দেখা যায় প্রাচীকে।
কী ভাবে হার্দিকের সঙ্গে প্রাচীর পরিচয় তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেননি। ছবি পোস্ট করার সময় প্রাচী নিজে দাবি করেছেন যে, তিনি হার্দিকের অনুরাগী মাত্র।
শুধুমাত্র হার্দিকের সঙ্গেই নয়, প্রাচীকে দেখা গিয়েছে হার্দিকের পরিবারের সঙ্গেও। হার্দিকের দাদা ক্রুণাল পাণ্ড্য ছিলেন সেখানে। অনেকের মতে প্রাচী নেহাতই এক জন ক্রিকেটপ্রেমী এবং হার্দিকের ভক্ত।
প্রাচীকে অনেকেই হার্দিকের পরবর্তী স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন। তবে ক্রিকেটজগতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নেই প্রাচীর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রাচী পেশায় রূপটান শিল্পী। সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও নজর কাড়ার মতো।
ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামের পাতায় প্রাচীর অনুগামীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে পছন্দ করেন প্রাচী। সমাজমাধ্যমে ভ্রমণকালীন ছবিও পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে।
এক দিকে যখন হার্দিক এবং তাঁর নতুন বান্ধবী প্রাচীকে নিয়ে চারদিকে চর্চা চলছে, তখন অন্য দিকে গান গাইতে ব্যস্ত রয়েছেন হার্দিক-পত্নী নাতাশা।
হার্দিক এবং প্রাচীর ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে স্টোরি দিয়েছিলেন নাতাশা। সেখানে আমেরিকার সঙ্গীতশিল্পী অ্যান্ডি গ্রামারের ‘ডোন্ট গিভ আপ অন মি’ গাইতে শোনা যায় নাতাশাকে। স্টোরিতে লেখা ছিল, ‘‘সব হারালেও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ো না।’’