আমেরিকার একটি আদালতের বিচারক থেকে পর্নতারকা। এক সিদ্ধান্তই পাল্টে দিল আমেরিকার গ্রেগরি লকের জীবন।
পর্ন দুনিয়ায় পা রাখার ‘শাস্তি’ হিসাবে বিচারকের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে গ্রেগরিকে।
আদালত-বাড়ি করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন গ্রেগরি। একঘেঁয়ে জীবন কিছুতেই ভাল লাগছিল না। তাই একঘেঁয়েমি কাটাতে নীল ছবির দুনিয়ায় পা বাড়ান গ্রেগরি। আর সেই সিদ্ধান্তই কাল হল তাঁর।
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ অনুযায়ী, ৩৩ বছর বয়সি গ্রেগরি নিউ ইয়র্ক শহরের (এনওয়াইসি) প্রশাসনিক আইনের বিচারক।
সম্প্রতি তিনি একটি ওয়েবসাইটে পর্ন তারকা হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন।
পর্ন দুনিয়ায় পা রেখে ভাল আয় করতেও শুরু করেন গ্রেগরি। এখনও পর্যন্ত তিনি ওই ওয়েবসাইটে ১০০টিরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি।
ওই ওয়েবসাইটে তিনি লিখে রেখেছেন, ‘সকালে খুব দামি চাকরি করলেও রাতের বেলা আমি একেবারেই অন্য পেশায় যুক্ত।’
দুষ্টু ছবিতে গ্রেগরির আগমন গোচরের বাইরেই ছিল। তবে সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসে। গ্রেগরির এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন নিউ ইয়র্ক শহরের প্রশাসনিক কর্তারা।
গ্রেগরির পর্ন তারকা হিসাবে কাজ করাকে আইনের প্রতি ‘অপেশাদার আচরণ’ মন্তব্য করে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক শহরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, শুধু একটা ওয়েবসাইটে না, খুঁজলে বহু পর্ন ওয়েবসাইটেই গ্রেগরির ভিডিয়ো পাওয়া যাবে।
ওয়েবসাইটে গ্রেগরির কয়েক ডজন পর্ন ছবি এবং ভিডিয়ো রয়েছে বলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অভিযোগ।
প্রশাসনিক কর্তারা আরও দাবি করেছেন, নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও সম্প্রতি নীল ছবি পোস্ট করতে শুরু করেছেন গ্রেগরি। অথচ টুইটারের নিজের সম্পর্কে লিখে রেখেছেন, ‘আমি এক জন বিচারক’।
আর এতেই আপত্তি জানিয়েছে নিউইয়র্কের প্রশাসন। অনেক আলাপ আলোচনার পর গ্রেগরিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সিটি কাউন্সিলের সদস্য ভিকি প্যালাডিনো বলেন, ‘‘আদালতের প্রতি এই শহরের প্রতিটি স্তরের মানুষের পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে। গ্রেগরির মতো ব্যক্তিদের নিয়োগ করলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে।’’