ইয়েমেনে হুথিদের উদ্দেশ্যে আমেরিকার চালানো হামলাকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসছে বিশ্ব রাজনীতি এবং কূটনীতি মহল। রবিবার বেপরোয়া হানা চালায় আমেরিকার সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে ওয়াশিংটন।
ওয়াশিংটনের দাবি, লোহিত সাগরে হুথিদের হামলা ঠেকাতেই ওই এলাকায় সামরিক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। চলছে বোমাবর্ষণ।
আমেরিকার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার ইয়েমেনে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের হামলায় ওই পাঁচ ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সেগুলির মধ্যে একটি আকাশপথে শত্রুর দিকে এবং অন্য চারটি সমুদ্রের দিকে তাক করে রাখা ছিল। ক্ষেপণাস্ত্রগুলি চিহ্নিত করে ধ্বংস করেছে আমেরিকা।
ইয়েমেনে সক্রিয় ইরান-ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরাই ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তাক করে রেখেছিল বলে দাবি আমেরিকান সেনার।
এর আগে শনিবার ইয়েমেনে হুথিদের ৩৬টি ঘাঁটি লক্ষ্য করে যৌথ ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা এবং ব্রিটেন।
তার পরে রবিবার বেলার দিকে হুথিদের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, এই কাজ যারা করেছে, তাদের শাস্তি পেতে হবে।
হুথিরা জবাবে জানিয়েছে তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবে না। এর ফলে পশ্চিম এশিয়ায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তাদের সমর্থনেও ভাটা পড়বে না বলে জানিয়েছে হুথিরা।
হুথিদের এই হুঁশিয়ারির দিনেই রাতে ইয়েমেনে আবার হামলা চালাল আমেরিকা। তাদের দাবি, লোহিত সাগর সংলগ্ন এলাকায় শান্তি ফেরাতে এই হামলা চালাচ্ছে তারা।
গত নভেম্বর থেকে ওই এলাকায় সমস্ত আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজের গতিবিধিতে বাধা দিচ্ছে হুথিরা। তাতে বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি আমেরিকার।
হুথিদের অবশ্য দাবি, ইজ়রায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজেই তারা হামলা চালাচ্ছে। কারণ যুদ্ধে তারা হামাসের সমর্থক।
কিছু দিন আগে জর্ডনে সিরিয়া সীমান্তের কাছে আমেরিকান বাহিনীর উপর ড্রোন হামলা চালানো হয়। আমেরিকার দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইরান।
ওই হামলায় আমেরিকার তিন জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
হামলার পরেই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পর থেকে ওই এলাকায় আমেরিকার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার ইরাক এবং সিরিয়ায়, ইরানের বাহিনী এবং তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর উপর যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ওয়াশিটন।
তাতে সিরিয়ায় ১৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পেন্টাগন সূত্রে খবর। যদিও ইরানের মাটিতে সরাসরি হামলা চালানো হয়নি। তার পর শনিবারই আবার ইয়েমেনে হামলা চালায় আমেরিকা, ব্রিটেন।