১৪ অক্টোবর, শুক্রবার। দুপুর ৩টে ৪০মিনিট। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে এল বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রিবাহী এয়ারক্র্যাফ্ট এমিরেটস এয়ারবাস এ৩৮০।
২০১৪ সালে মুম্বইয়ে এমিরেটস প্রথম এ৩৮০-র পরিষেবা চালু করেছিল। তার ঠিক আট বছর পর দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু ভারতের দ্বিতীয় শহর যেখানে এমিরেটস তার পরিষেবা দিল।
দুবাই থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এ৩৮০ এয়ারবাস। দুপুরে নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগেই গন্তব্যস্থলে পৌছে যায় এই বিমান।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্বের বৃহত্তম এই যাত্রিবাহী বিমানে কী কী পরিষেবা পাওয়া যায় এবং এই বিমানের বৈশিষ্ট্যই বা কী?
এই বিমানের অভ্যন্তরে ক্রিম রঙের সঙ্গে ব্রোঞ্জ রঙের খেলা দেখা যায়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জাতীয় গাছের ছবিও প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এই বিমানের অন্দরসজ্জায়।
এই বিমানে বিজনেস শ্রেণি থেকে শুরু করে ইকোনমি শ্রেণির আসনগুলি খুব আরামদায়ক এবং অনেকটা জায়গা জুড়ে এই আসনগুলি বানানো হয়েছে।
বিজনেস শ্রেণিতে যে আসনগুলি রয়েছে, তার সঙ্গে লাগানো রয়েছে ২০ ইঞ্চির এইচডি টেলিভশন। ইকোনমি ক্লাসে রয়েছে ১৩.৩ ইঞ্চির টেলিভিশন।
প্রতিটি টেলিভিশনেই পাওয়া যাবে পাঁচ হাজারেরও বেশি চ্যানেল। যাত্রীরা ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই-এর সুবিধাও নিতে পারেন।
এই বিমানের নতুন সংযোজন ‘প্রিমিয়াম ইকোনমি’ শ্রেণি। ইতিমধ্যেই তা দুবাই, প্যারিস, লন্ডন এবং সিডনিতে যাত্রা করেছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কেও এই শ্রেণির পরিষেবা পাওয়া যাবে।
অকল্যান্ড, মেলবোর্ন, সান ফ্রান্সিসকো, সিঙ্গাপুর এবং ক্রাইস্টচার্চে ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে এই শ্রেণির পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা যায়।
এই বিমানের আলোকসজ্জাও দেখার মতো। প্রথম শ্রেণিতে আবার নানা রকমের আলোকসজ্জার সঙ্গে সুগন্ধি ছড়ানোরও ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিটি শ্রেণির সঙ্গে একটি করে ছোট বারও রয়েছে। এখানে দেশ-বিদেশের নামী ব্র্যান্ডের সুরা পাওয়া যায়।
প্রথম শ্রেণিতে আলাদা ভাবে রয়েছে বিলাসবহুল ‘শাওয়ার স্পা’। বিমান চলাকালীনই যাত্রীরা এখানে স্পা করতে পারেন। স্পা করানোর সময় শুধু মাত্র অর্গানিক সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়।
এই বিমানের ওজন আনুমানিক ৫১০ থেকে ৫৭৫ টন (৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৬৪ কেজি থেকে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৬৩১ কেজি)।
তুলনা করে দেখা যায়, এই বিমানের উচ্চতা ২৪.১ মিটার যা পাঁচটি জিরাফের সমান উচ্চতা। এই বিমানটির দৈর্ঘ্য ৭২. ৭ মিটার। রয়টার্স বিল্ডিংয়ের সামনে এই বিমানটি দাঁড়ালে প্রায় অর্ধেকটা ঢেকে যায়।
এই বিমানটি চারটি ‘লং রেঞ্জ’-এর শ্রেণি নিয়ে তৈরি। এতে আসন সংখ্যা ৪৮৪টি।