প্রতি মাসে উপার্জন ২০ হাজার ইউরো (ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী ১৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ২২০ টাকা)। মাত্র ১৫ বছর বয়সে কোটিপতি হয়েছে আমেরিকার এই কিশোর। কিন্তু কী ভাবে?
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ডোনাল্ড ডফার। ইউটিউবে নানা ধরনের ভিডিয়ো বানিয়ে আপলোড করে সে।
তার চ্যানেলের নাম ‘ডনল্যাড’। এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ।
ডোনাল্ড তার দৈনিক জীবনযাপনের উপর ভিডিয়ো তৈরি করে। কখনও বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে, আবার কখনও নামী ব্র্যান্ডের পোশাক-জুতো কিনলে তা ভিডিয়োর মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়।
২০১৯ সালের অগস্ট মাসে ডোনাল্ড ইউটিউবে ভিডিয়ো বানানো শুরু করে। এখনও অবধি দু’শোর বেশি ভিডিয়ো রয়েছে তার চ্যানেলে।
শুধু মাত্র ইউটিউবেই নয়, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামেও তাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনুসরণ করেন।
হাজার হাজার ডলার মূল্যের জুতো সংগ্রহ করে ডোনাল্ড। তার কাছে এমনও জুতো রয়েছে যেখানে ‘সেল্ফ লেসিং বাটন’ রয়েছে অর্থাৎ একটি বোতেম টিপলে নিজে থেকেই জুতোর ফিতে বেঁধে ফেলা যায়।
আমেরিকার বহু জায়গায় ডোনাল্ড বিলাসবহুল বাড়ি কিনে রেখেছে। আট বছর বয়স থেকেই গাড়ি চালাতে পারে সে।
ফেরারি, অডি, ম্যাকলরেন প্রভৃতি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ি সংগ্রহ করার শখ রয়েছে তার। যদিও ডোনাল্ড এখনও ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ পায়নি। কারণ ক্যালিফোর্নিয়ার আইন অনুযায়ী, ১৬ বছর বয়স হলেই লাইসেন্স পাওয়া যায়।
ডোনাল্ড এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ইউটিউবার হিসাবেই জীবিকা নির্বাহ করতে চায় সে। তার চ্যানেলকে আরও বড় করার জন্য উপার্জিত অর্থ ব্যয় করবে ডোনাল্ড।
বাবা-মা এবং বোন সোফিয়ার সঙ্গেই থাকে সে। কিছুদিন আগে ডোনাল্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে ডোনাল্ড বলে, ‘‘দু’মাস ধরে আমরা এই বাড়িতে থাকছি। নীচে খুব সুন্দর একটি সুইমিং পুলও রয়েছে। কিন্তু সিঁড়ি ভেঙে এতটা নামতে হবে বলেই কোনও দিনও ব্যবহার করিনি।’’
তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং বন্ধুদেরকেও ভিডিয়োয় দেখা যায়। সম্প্রতি বাহামায় ঘুরতে গিয়েছিল ডোনাল্ড।
সেখানে কখনও হাঙরকে সঙ্গী করে সাঁতার কেটেছে, কখনও বিলাসবহুল রিসর্টে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকতেও দেখা গিয়েছে তাকে।