‘কয়ামত সে কয়ামত তক’, ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’, ‘রঙ্গীলা’, ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’ প্রভৃতি সাড়া ফেলে দেওয়া ছবির মধ্যে অন্যতম। কিং খান থেকে শুরু করে বলিউডের ‘ভাইজান’-এর কেরিয়ারে এই ছবিগুলি এক একটি মাইলফলক।
তবে, এই সিনেমাগুলি এক সুতোয় বেধে রাখার পিছনে রয়েছে বড়পর্দার এক প্রচলিত মুখ। তিনি আর কেউ নন, প্রতিটি ছবিতে শাহরুখ-সলমন খান-সহ জুহি চাওলা, মাধুরী দীক্ষিত প্রমুখ তারকার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা রীমা লাগু। নব্বইয়ের দশক থেকেই বড়পর্দায় অভিনয় করে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন রীমা।
শুধু বলিউডেই নয়, মরাঠি ছবিতেও কাজ করতে দেখা গিয়েছে রীমাকে। শিশু-অভিনেতা হিসাবে অভিনয় জগতে প্রথম পা রেখেছিলেন তিনি।
এর পর ‘শ্রীমান শ্রীমতী’, ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ হিন্দি ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি প্রচারে আসেন। এই ধারাবাহিকগুলিতে তিনি যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাতে মাতৃত্বসুলভ আচরণ সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন অভিনেত্রী।
তখন থেকেই তাঁর কাছে বিভিন্ন হিন্দি ছবিতে শুধুমাত্র মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব আসতে থাকে। অনেকেই একই রকম চরিত্রে বার বার অভিনয় করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। কিন্তু, রীমা কখনই সেই অজুহাত দিয়ে কাজ ফেরাননি। এমনকি, এক সময় বলিপাড়ায় সলমন খানের মা হিসাবেই বেশি প্রচলিত ছিলেন অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অভিনেত্রী প্রয়াত হন। কিন্তু এখনও তাঁর ছাপ বহন করে চলেছেন রীমা-কন্যা মৃন্ময়ী লাগু। মৃন্ময়ীর মুখের আদল একেবারেই তাঁর মায়ের মতো।
তিনিও মায়ের পথ অনুসরণ করে অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’, ‘দঙ্গল’, ‘থপ্পড়’ প্রভৃতি ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন মৃন্ময়ী।
শুধু অভিনয়ই নয়, বলিউডজগতের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘তলাশ’ ছবিতে সহ-পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
এমনকি, আমির খান প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে ভালই সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এই অভিনেত্রী। যদিও ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যালো জিন্দেগি’ ছবিতে মৃন্ময়ী প্রথম কাজ করেছিলেন।
‘দঙ্গল’, ‘গুলাব গ্যাঙ্গ’ ছবির স্ক্রিপ্ট সুপারভাইজার হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভরতনাট্যম, জ্যাজ, সালসা নাচেও পারদর্শী এই অভিনেত্রী। মায়ের মতো তিনিও মরাঠি ছবিতে কাজ করেছেন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি এর পরে ‘নামকরণ’ ধারাবাহিকের জন্য কাজ শুরু করবেন। এই ধারাবাহিকে তাঁর মাকেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
তবে, রীমা বড়পর্দার যতটা কাজ করেছিলেন, সেই তুলনায় রীমা-কন্যা ক্যামেরার পিছনেই কাজ করছেন বেশি।