সম্প্রতি করণ জোহরের সঙ্গে আড্ডায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চাঙ্কি পাণ্ডের স্ত্রী ভাবনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাহরুখ-পত্নী গৌরী এবং সঞ্জয় কপূরের স্ত্রী মহীপ কপূরও।
এমনকি, নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ সিরিজ়েও দেখা গিয়েছে ভাবনা পাণ্ডেকে। বলিউডের লাইমলাইটে সারা জীবন চাঙ্কি পাণ্ডেই থেকেছেন। এই প্রথম বার ভাবনা দর্শকমহলের কাছাকাছি আসায় তাঁকে নিয়ে বলিউডের একাংশ মেতে উঠেছেন।
ইতিমধ্যেই বেড়েছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও। ভাবনার পুরনো দিনের ছবিও খুঁজে বার করেছেন অনুরাগীরা। বেশির ভাগ ছবিই চাঙ্কির সঙ্গে। সমাজমাধ্যমে তাঁর ছবি ছড়িয়েও পড়েছে।
অধিকাংশের দাবি, নব্বইয়ের দশকের অভিনেত্রীদের টক্কর দেওয়া মতো জেল্লা ছিল ভাবনার। এমনকি, এখনও তিনি যথেষ্টই জেল্লাদার।
ছোটবেলা থেকে নায়িকা হবেন বলেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ভাবনা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বপ্নবদল হয়। অভিনয়জগতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না ভাবনার।
দিল্লি থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি এক বছরের জন্য বিমানসেবিকার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে চাঙ্কির সঙ্গে বেশ কিছু দিন সম্পর্কে থাকার পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভাবনা।
তবে, বিয়ের ঠিক পরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ভাবনা। চাঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার খুব কম সময়ের মধ্যেই অনন্যার জন্ম হয়।
তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, সেই সময়ে, এমনকি অনন্যার জন্মের পরেও তাঁকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ভাবনা কি বিয়ের আগে থেকেই সন্তানসম্ভবা ছিলেন? বহু দিন ধরে চলা এই গুজবের অবশেষে উত্তর দিলেন ভাবনা।
তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অনন্যা আমার হানিমুন বেবি।’’ বিয়ের আগে সন্তানসম্ভবা ছিলেন না বলে জানান ভাবনা।
বিয়ের পর চাঙ্কির সঙ্গে মুম্বইয়ে একটি রেস্তরাঁ খোলেন ভাবনা। এই রেস্তরাঁর বৈশিষ্ট্য হল, এখানে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যায়।
২০০০ সাল নাগাদ রেস্তরাঁর পাশাপাশি নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন ভাবনা।
দীর্ঘ ১৮ বছর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার পর ২০১৮ সালে তিনি নন্দিতা মহতানি এবং ডলি সিদ্ধানির সঙ্গে মিলে নিজস্ব সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
শুধু তাই নয়, চাঙ্কির সঙ্গে আরও একটি সংস্থা চালাচ্ছেন ভাবনা। এই সংস্থার তরফে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও বিমানসেবিকা থেকে এক জন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভাবনা।