নব্বইয়ের দশকে ছোট এবং বড় পর্দায় এসেছিলেন বহু শিশু অভিনেতা। কেউ সময়ের প্রবাহে হারিয়ে গিয়েছেন, কেউ অভিনয় জগতে আরও সফল হয়েছেন।
শহিদ কপূর, আলিয়া ভট্ট, কুণাল খেমু, অহসাস চন্নার মতো আরও অনেকেই তাঁদের শৈশবে বড় মাপের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন এবং তাঁরা এখন বলিউডের শ্রেষ্ঠ তারকাদের মধ্যে অন্যতম।
ওমকার কপূর এই দলেরই এক জন। তবে, বাকিদের মতো বলিউডের আলোর রোশনাই তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।
১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাসুম’ ছবির কথা মনে পড়ে? ‘ছোটা বাচ্চা জানকে না কোই আঁখ দিখানা রে’—গানটি মনে আছে? উদিত নারায়ণ-পুত্র আদিত্যের কন্ঠে গানটির সঙ্গে যে বাচ্চা ছেলেটি নাচ করেছিল, সে আর কেউ নয়, ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ ছবির তরুণ কপূর।
ওমকারের বাবা সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁর এত নামডাক ছিল না। তাই নিজের ছেলেকে অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন তিনি।
বাবা-মা ছোট থেকেই ওমকারকে অভিনয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। ছোট থেকেই সে প্রতিভাবান। যে কোনও চরিত্রের নানা রূপ নিখুঁত ফুটিয়ে তুলতে পারত।
অভিনেতা সতীশ শাহের চোখে ওমকারের অভিনয় ক্ষমতা ধরা পড়ে। তিনি ‘ফিল্মি চক্কর’ নামে একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে শিশু অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেন ওমকারকে।
এর পর আর ওমকারকে ফিরে তাকাতে হয়নি। যে কোনও অভিনেতার শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করতে হলে সকলে ওমকারকেই বেছে নিতেন।
‘জুড়য়া’ ছবিতে সলমন খানের ছোটবেলার চরিত্রে হোক বা ‘জুদাই’ ছবিতে শিশু অভিনেতার চরিত্র— ওমকার সমস্ত চরিত্রে নিপুণতার সঙ্গে অভিনয় করত।
পরবর্তী কালে পড়াশোনার সূত্রে ওমকার বলিউড জগত থেকে সাময়িক বিরতি নিলেও আবার ফিরে আসেন তিনি। তবে এ বার আর ক্যামেরার সামনে নয়।
সঞ্জয় লীলা ভন্সালী, ফারহা খান, আহমেদ খানের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে ক্যামেরার পিছন থেকেই কাজ শিখেছিলেন তিনি।
অভিনয় জগতে আবার ফিরে আসতে তিনি বহু জায়গায় অডিশন দিয়েছিলেন। অবশেষে ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ ছবিতে অভিনয় করে আবার দর্শকদের মন কাড়েন ওমকার।
কিন্তু এই সিনেমার পর কার্তিক আরিয়ানের জীবনে সাফল্য আসলেও ওমকারের জীবনে বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয়নি।
বর্তমানে, কিছু ওয়েব সিরিজ ও দু’টি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও সেগুলি তেমন প্রচারের আলোয় আসেনি।