দেখতে হুবহু লিয়োনেল মেসি। চেহারা-উচ্চতাও আর্জেন্তিনীয় ফুটবলারের মতো। ইরানের সেই ২৭ বছর বয়সি যুবক রেজ়া পরাস্তেশকে দেখলে মেসি বলে গুলিয়ে ফেলতে পারেন অনেকেই।
ইরানের নাগরিক রেজ়া আসলে মেসির হুবহু। ইরানের পশ্চিমের শহর হামেদানের বাসিন্দা তিনি।
মেসির মতো দেখতে হওয়ার কারণে রেজ়ার ভক্তের সংখ্যা অনেক। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১৪ লক্ষেরও বেশি।
রেজ়া রাস্তায় বেরোলেই তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার ঢল নামে। ‘নকল মেসি’ হওয়ার সুবাদে তাঁর মহিলা ভক্তের সংখ্যাও অগণিত।
মেসির হুবহু হিসাবে রেজ়া প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৭ সালে। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসির মতোই চুল এবং দাড়ির ছাঁট দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি।
সেই ছবি নেটমাধ্যমে ঝড় তোলে। রাতারাতি তারকায় পরিণত হন রেজ়া। তিনি যেখানেই যেতেন, মানুষ তাঁকে মেসি বলে ভুল করতেন।
সমাজমাধ্যমে তিনি ‘নকল মেসি’র তকমা পান। সেই সময় রেজ়া নিছকই এক পড়ুয়া ছিলেন।
রেজ়াকে নিয়ে মানুষের উন্মাদনা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, তাঁকে রাস্তাঘাটে মানুষজন ঘিরে ধরতেন। রাস্তায় যানজট লেগে যেত।
বিষয়টি নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করে পুলিশ। এক বার রেজ়াকে দেখতে এত ভিড় জমে গিয়েছিল যে, পুলিশ তাঁর গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যদিও পরে মুক্তি দেওয়া হয় রেজ়াকে। তবে গ্রেফতারির পর তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁর সাক্ষাৎকার ছাপা শুরু হয়।
নকল মেসি হওয়ার ‘সুযোগ’ও নাকি নিয়েছেন রেজ়া। ২০১৭ সালে তারকা ফুটবলারের ছদ্মবেশে ২৩ জন মহিলাকে শয্যাসঙ্গী করার অভিযোগ ওঠে রেজ়ার বিরুদ্ধে। কারণ ওই মহিলারা সকলেই মনে করেছিলেন যে, তাঁরা রাত কাটাচ্ছেন মেসির সঙ্গে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন রেজ়া।
২০১৭ সালে সংবাদ সংস্থা এএফপির সাক্ষাৎকারে রেজ়া জানিয়েছিলেন, শুধু দেখতে নয়, তিনি যদি মেসির সব গুণ পেতেন, তা হলে আর কোনও আক্ষেপ থাকত না তাঁর।
বাস্তবে কখনও দেখা হয়নি আসল এবং নকল মেসির। তবে মেসির সঙ্গে কোনও না কোনও দিন দেখা করার ইচ্ছা রয়েছে রেজ়ার। তাঁকে দেখে মেসি কী রকম প্রতিক্রিয়া দেন, তা-ও ক্যামেরাবন্দি করে রাখার মনোবাসনা রয়েছে।
বর্তমানে মডেল হিসাবে কাজ করেন রেজ়া। নিজের একটি সংস্থাও রয়েছে তাঁর। তবে এখনও যখন তিনি রাস্তায় বেরোন, তাঁকে দেখে মানুষ এগিয়ে আসেন মেসি ভেবে।