শুক্রবার থেকে প্যারিসে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হচ্ছে ৩০তম অলিম্পিক্স। চলবে ১১ অগস্ট পর্যন্ত। বিভিন্ন খেলায় পদক জেতার লক্ষ্যে নামছেন ১০ হাজারেরও বেশি ক্রীড়াবিদ।
অলিম্পিক্সে ক্রীড়াবিদেরা নিজের নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। উল্লেখ্য, অলিম্পিক্সে অনেক ক্রীড়াবিদকেই অতীতে দু’টি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে তিনটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এমন ক্রীড়াবিদ সচরাচর নজরে পড়ে না।
তবে এমনও এক জন ক্রীড়াবিদ ছিলেন, যিনি তিনটি অলিম্পিক্সে ভিন্ন তিনটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কথা হচ্ছে ইয়ামিল আলদামার। ইয়ামিল প্রাক্তন ট্রিপল জাম্পার।
কিন্তু কী ভাবে বার বার দেশ পরিবর্তন করে অলিম্পিক্সে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ামিল?
ইয়ামিলের জন্ম কিউবায়। ২০০০ সালে সে দেশের হয়েই অলিম্পিক্সে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
২০০৪-এর অলিম্পিক্সে ইয়ামিল সুদানের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১২-এর অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করেন ব্রিটেনের।
যদিও তিন অলিম্পিক্সেই কোনও পদক জিততে পারেননি ইয়ামিল। তবে নজর কেড়েছিলেন।
ট্রিপল জাম্পার হিসাবে ১৯৯৬ সালের অলিম্পিক্সেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল ইয়ামিলের। কিন্তু চোটের কারণে অংশ নিতে পারেননি। এর পর ২০০০ সালে কিউবার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ট্রিপল জাম্পে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন।
২০০১ সালে স্কটিশ টিভি প্রযোজক অ্যান্ড্রু ডডসকে বিয়ে করেন ইয়ামিল। পরে মাদক সেবনের অভিযোগে অ্যান্ড্রুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০০৪ সালের অলিম্পিক্সে ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছিলেন ইয়ামিল। কিন্তু নিয়মের গেরোয় সে দেশের নাগরিকত্ব পাননি।
স্পেন, ইটালি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের তরফে ইয়মিলকে তাদের দেশের হয়ে অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ইয়ামিল বেছে নেন সুদানকে। ২০০৪-এর অলিম্পিক্সে উত্তর আফ্রিকার ওই দেশের হয়ে খেলতে নামেন তিনি। পঞ্চম স্থান অর্জন করেন।
অবশেষে ২০১০ সালে ইয়ামিলকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ২০১২ সালের অলিম্পিক্সে সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তখন ইয়ামিলের বয়স প্রায় ৪০। চোট থাকা সত্ত্বেও ট্রিপল জাম্পে তিনি পঞ্চম হয়ে সকলের নজর কাড়েন।
এ ভাবেই তিনটি অলিম্পিক্সে তিনটি আলাদা দেশের হয়ে ময়দানে নেমেছিলেন ইয়ামিল।
২০১৪ সালে অবসর নেন ইয়ামিল। অলিম্পিক্সে কোনও পদক না জিতলেও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি পদক রয়েছে তাঁর।