বলিউড তারকাদের বৈভব কম নয়! তাঁদের সম্পত্তি নিয়ে প্রায়শই চর্চা চলে। বিশেষ করে, তাঁদের অন্দরমহল কেমন— এ নিয়ে ভক্তকুলে কৌতূহলের অন্ত নেই। এমনকি, মুম্বই গিয়ে অনেকেই প্রিয় নায়কের বাড়ি দেখতে যান। বলিপাড়ার নায়কদের মধ্যে অক্ষয় কুমারের বাড়ি নিয়েও আগ্রহ রয়েছে তাঁর ভক্তদের। ‘খিলাড়ি’র বাড়ি কেমন?
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিপাড়ায় রাজ করছেন অক্ষয়। শাহরুখ-আমির-সলমন— এই তিন খানের দাপাদাপির মধ্যেও বি-টাউনের সুপারস্টারের তকমা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মারফত জানা গিয়েছে, অক্ষয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ফলে অক্ষয়ের অন্দরমহলও যে ঝাঁ-চকচকে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। মুম্বইয়ের জুহুতে অভিজাত এলাকায় থাকেন নায়ক। আর তাঁর সেই বাড়িও যত্ন করে সাজানো।
বিলাসবহুল বাড়ি নায়কের। বাড়ি থেকে জুহু সৈকত খুব ভাল করে দেখা যায়। বেডরুম থেকে ডাইনিং রুম—ঘরময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নানা শিল্পকর্ম, ভাস্কর্য।
জুহুর এই বাড়িতেই স্ত্রী টুইঙ্কল খন্না এবং পুত্র-কন্যার সঙ্গে থাকেন অক্ষয়। এই বাড়িটি একটি ডুপ্লে। বাড়ির অন্দরসজ্জা করেছেন স্বয়ং অক্ষয়-ঘরনি। দেখে নেওয়া যাক, এই বাড়িতে কী কী রয়েছে? কেমন করেই বা সাজানো হয়েছে?
বাড়ির প্রবেশদ্বারে রয়েছে গণেশের মূর্তি। অর্থাৎ, সিদ্ধিদাতাকে প্রণাম করেই ঢুকতে হবে নায়কের বাড়িতে। ‘লিভিং রুম’ বা বসার ঘরের দেওয়ালে শোভা পেয়েছে নানা ধরনের দেওয়ালচিত্র। রাখা আছে বিভিন্ন ভাস্কর্যও।
যেখানে সোফা রয়েছে, সেখানে বড় আকারের একটি শিল্পকর্ম রয়েছে। যা ঘরের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ করেছে। কাচের একটি সেন্টার টেবিলও রয়েছে। তার উপরও ঠাঁই পেয়েছে নানা শিল্পকর্ম এবং ফুলদানি।
অক্ষয়ের বসার ঘরে একটি কাচের দেওয়াল রয়েছে। যা থেকে বাইরের বাগান স্পষ্ট দেখা যাবে। ঘরে রয়েছে নানা রকমের আলো। ফলে রাতে নানা আলোর রোশনাইয়ে অন্দরমহল ঝলমল করে।
অক্ষয়ের ডুপ্লে’র দোতলায় রয়েছে বেডরুম বা শয়নকক্ষ। দোতলায় রয়েছে টুইঙ্কলের অফিসও। সেখানেই মূলত লেখালেখির কাজ সারেন তিনি। বলিউডে পা রাখার পর অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি টুইঙ্কল। লেখালেখিতেই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
দোতলায় রয়েছে একটি ব্যালকনি। সেখান থেকে বাইরের পরিবেশ দারুণ ভাবে উপভোগ করা যায়। রয়েছে প্যান্ট্রিও।
বইয়ের প্রতি আগ্রহ রয়েছে টুইঙ্কলের। বই পড়েন অক্ষয়ও। তাই তাঁদের বাড়িতে একটা জায়গা দখল করে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বই। ঘরের একটি দেওয়ালে রাখা হয়েছে প্রচুর বই।
রুপোলি পর্দার নায়ক তিনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই সিনেমার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে অক্ষয়ের। বাড়িতে হোম থিয়েটার রয়েছে। অবসরে সেখানে বসেই পরিবারের সকলে ছবি দেখেন।
বাড়ির এক তলায় রয়েছে রান্নাঘর। সেখানে অনেক সময়ই নিজের খাবার বানান অক্ষয়। নায়কের একটি ছবিতেই এর আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে। এক তলাতেই রয়েছে হোম থিয়েটার, বসার ঘর, ডাইনিং রুম।
এ তো গেল অন্দরমহলের কথা। এ বার বলা যাক, অক্ষয়ের বাড়ির বাগানের গল্প। টুইঙ্কল এবং অক্ষয় দু’জনেই প্রকৃতিপ্রেমী। প্রকৃতির প্রতি সেই ভালবাসার প্রতিফলন ঘটেছে তাঁদের বাগানে।
নানা ধরনের গাছ রয়েছে অক্ষয়ের বাগানে। দেখে মনে হবে যেন ছোটখাটো জঙ্গল, তবে তা সুন্দর করে সাজানো। আবার ছোটখাটো ক্ষেত বললেও অত্যুক্তি হয় না।
কেননা, অক্ষয়ের বাগানে নানা রকমের সব্জিও রয়েছে। যেমন টমেটো, বেগুনও ফলে। আবার রয়েছে আস্ত আম গাছও। বাগানে একটি পুকুরও রয়েছে। রাখা আছে বুদ্ধ মূর্তি।
পড়ন্ত বিকেলে বাগানের মধ্যে চা-কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা মারার জন্য বসার ব্যবস্থাও রয়েছে ওই বাগানে। অবসর সময়ে এই বাগানে অনেকটা সময় কাটান এই তারকা দম্পতি।
বোঝাই যাচ্ছে যে, অক্ষয়ের বাড়ি যথেষ্ট বিলাসবহুল। এই বাড়ির দামও আকাশছোঁয়া। অক্ষয়ের এই ডুপ্লের দাম ৮০ কোটি টাকা।
অক্ষয়-টুইঙ্কলের বেডরুমও ঝাঁ-চকচকে। রয়েছে কাচের বড় জানলা। যা থেকে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতি অক্ষয়-টুইঙ্কল। তাঁদের অন্দরমহলের কোনায় কোনায়ও যেন সেই সুখের নানা মুহূর্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সে কারণেই হয়তো এই তারকা জুটির গৃহকোণ এত ঝাঁ-চকচকে।