আজ থেকে মাস ছ’য়েক আগের ঘটনা। শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই ছবি এখনও উজ্জ্বল।
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তাঁর বোলপুর সফরের সেই সব স্মৃতি এখনও রঙিন হয়ে আছে।
বছরের বিভিন্ন সময়েই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অনেকেই ঘুরতে যান বোলপুর-শান্তিনিকেতন। ঠিক সেই রকমই শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
গত ৪ জুন বোলপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তখন তিনি দ্বিতীয় বার ক্যানসারকে হারিয়ে দিয়ে উপভোগ করছিলেন জীবন।
সেই সফরেও ঐন্দ্রিলার পাশাপাশি ছিলেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী। ছিলেন দিদি এবং বন্ধুবান্ধবও।
ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচী এবং বন্ধুরা মিলেই উপভোগ করেছিলেন বোলপুর সফরের আনন্দ।
বোলপুরে সফরে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি তা নিয়ে একটি ভিডিয়োও করেছিলেন ঐন্দ্রিলা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন তিনি। ঐন্দ্রিলা প্রয়াত হওয়ার পর সেই ভিডিয়োটি নতুন করে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রয়াত ঐন্দ্রিলা। এখন তাঁর স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন অনুরাগীরা।
চোখের কোণে জল নিয়েই ঐন্দ্রিলার পুরনো সব ভিডিয়ো এবং ছবি সমাজমাধ্যমে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন অনুরাগীরা।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে বোলপুরে গিয়ে একটি হোটেলে ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর সঙ্গীরা সকলে মিলে শালপাতায় খেয়েছিলেন মাছভাত।
এর পর তাঁরা ঘুরে দেখেছিলেন রায়পুরের জমিদারবাড়ি।
ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর সঙ্গীসাথীরা সকলে মিলে ঘুরে দেখেন সোনাঝুরি হাট এবং ‘আমার কুটির’।
নাচে পারদর্শী ছিলেন ঐন্দ্রিলা। সোনাঝুরি হাটে আদিবাসীদের নাচ-গান শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি।
ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর সঙ্গীদের অনেকেই পা মেলান আদিবাসী গানের তালে তালে। সেই নাচের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন ঐন্দ্রিলা।
নাচের পর ঐন্দ্রিলারা সকলে মিলে পৌঁছে যান ‘আমার কুটির’-এ। সেখানে সাধারণত আদিবাসীদের হাতে তৈরি নানা জিনিসপত্র বিক্রি হয়ে থাকে।
বোলপুর বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা আদিবাসীদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে যান ‘আমার কুটির’-এ। সেখান থেকে নানা শিল্পসামগ্রী কেনেন ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর সঙ্গীরাও।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর তাঁর বোলপুর সফরের সেই স্মৃতি মনে পড়ছে অনেকেরই।
২০ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ঐন্দ্রিলার। কোমায় চলে যান তিনি। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। ফেরেনি জ্ঞান। হাসপাতালেই প্রয়াত হন অভিনেত্রী।
গত রবিবার সকালেও অভিনেত্রীর বেশ কয়েক বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তার পর থেকেই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। সে সময় হাসপাতালে ছিলেন তাঁর মা-বাবা এবং পরিবারের আরও কিছু সদস্য। গত রবিবার সকালে আনন্দবাজার অনলাইনকে ঐন্দ্রিলার মা জানান, মেয়ে একদমই ভাল নেই। তার কিছু পরেই প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা।