Aindrila Sharma Death

স্ট্রোক, একাধিক বার হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত, শেষ ২০ দিন ধরে কী ভাবে লড়লেন ঐন্দ্রিলা

রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে হাওড়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া টেলি দুনিয়ায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১৩
Share:
০১ ১৫

তাঁর লড়াকু মনোভাবের কাছে দু’বার হার মেনেছিল মারণরোগ ক্যানসার। দু’বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও ফিনিক্সের মতো তাঁর প্রত্যাবর্তনের কাহিনি নজর কেড়েছিল সকলের। তাঁর লড়াকু মনোভাবকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অগণিত মানুষ। কিন্তু অলৌকিক কিছু ঘটাতে পারলেন না তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষে হার মানতে হল বাংলা টেলিভিশনের চর্চিত মুখ ঐন্দ্রিলা শর্মাকে।

০২ ১৫

দু’বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে স্বাভাবিক জীবনে ধীরে ধীরে প্রত্যাবর্তন ঘটছিল ঐন্দ্রিলার। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতেই যে তাঁকে আবার এক অসম লড়াইয়ে লড়তে হবে, এ কথা কেউ বোধহয় কল্পনাও করেননি। ১ নভেম্বর ২০২২, থেকে ২০ নভেম্বর ২০২২— ২০ দিন ধরে লড়াই চালিয়েছিলেন এই উঠতি অভিনেত্রী। ২০ দিনের মাথায় লড়াইয়ে শেষমেশ থেমে গেল ঐন্দ্রিলার প্রাণস্পন্দন।

Advertisement
০৩ ১৫

গত ২০ দিন ধরে ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই। রোজই খবরের কাগজ বা টিভির পর্দায়, কিংবা অনলাইন সংবাদমাধ্যমে আপামর রাজ্যবাসী তাঁর খবর নিয়েছেন। কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা— এই প্রশ্ন তাড়া করেছে এমন অনেকের মনেই, যাঁরা হয়তো ঐন্দ্রিলার অভিনয়ও দেখেননি।

০৪ ১৫

ক্যানসারের মতো মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে ২৪ বছরের একটা মেয়ে যে ভাবে জিতেছেন, তাঁর কাহিনি রাতারাতি আমজনতার হৃদয় ছুঁয়েছে। বিশেষত, ঐন্দ্রিলার এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটি তাঁর সঙ্গে থেকেছেন, সেই সব্যসাচী চৌধুরীকে নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়েছে। তাঁদের এ হেন ভালবাসাকে সেলাম জানিয়েছেন অগুনতি মানুষ।

০৫ ১৫

অলৌকিকের জন্য প্রার্থনা করুন... হাসপাতালের বেডে শুয়ে যখন লড়ছেন ঐন্দ্রিলা, তখন এই কথাই ফেসবুকে লিখেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু সেই অলৌকিক ঘটল না।

০৬ ১৫

১ নভেম্বর স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। তড়িঘড়ি তাঁকে হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সে দিন থেকেই কোমায় ছিলেন ঐন্দ্রিলা।

০৭ ১৫

ঐন্দ্রিলার স্ট্রোক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল তাঁর ভক্তমহলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিনেত্রীর সিটি স্ক্যান করানো হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, ঐন্দ্রিলার মাথার বাঁ দিকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটরে।

০৮ ১৫

এর পর ঐন্দ্রিলার জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। করা হয় বায়োপসি। তাতে চিকিৎসকরা দেখেন যে, ঐন্দ্রিলার ‘ইউয়িংস সারকোমা’ হয়েছে। এটা এক ধরনের ক্যানসার। যা দ্রুত ঐন্দ্রিলার শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

০৯ ১৫

তবুও হাল ছাড়েননি চিকিৎসকরা। নিউরোসার্জেন, নিউরোলজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট, সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ, রেডিওলজিস্ট-সহ একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সব চেষ্টা রবিবার ব্যর্থ হয়ে গেল।

১০ ১৫

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ভেন্টিলেটরে থাকাকালীনও ঐন্দ্রিলা অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। আশার আলো দেখেছিলেন সকলে।

১১ ১৫

কিন্তু অস্ত্রোপচারের ১০ দিন পর অভিনেত্রীর মাথার বাঁ দিকে আবার স্ট্রোক হয়। পরে মাথার ডান দিকে আবার স্ট্রোক হয়। এর জেরে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।

১২ ১৫

একাধিক বার হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। যার জেরে তাঁর চেতনা চলে গিয়েছিল। পুরোপুরি রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটর সাপোর্টে।

১৩ ১৫

ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য পরিবারের অনুমতি মেনে অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও পরামর্শ নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফল হয়ে গেল।

১৪ ১৫

১৯ নভেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায় আবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। জানা যায়, ‘মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’ আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তার পর থেকে অভিনেত্রীর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হতে থাকে।

১৫ ১৫

রবিবার আবার হৃদ্‌‌রোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। তবে এ বার আর শেষরক্ষা করা গেল না। রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে লড়াই থেমে গেল ঐন্দ্রিলার। ফিনিক্স হয়ে আর ফেরা হল না লড়াকু অভিনেত্রীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement