মলদ্বীপে গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল। চিন সফর থেকে ফিরে শনিবার নাম না করে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সদ্য নির্বাচিত দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
আর সেই শনিবারেই দীর্ঘ দিন দখলে থাকা রাজধানী মালের স্থানীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে মুইজ্জুর দল পিপল্স ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)।
ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের আবহে মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচনে পরাজিত হল প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল পিএনসি।
শনিবার রাজধানী মালের স্থানীয় নির্বাচনে তাঁর দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন ভারতঘেঁষা বিরোধী দলের নেতা। মালের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডাম আজ়িম।
তিনি মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা। ওই দলের প্রধান মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি। তাঁকে পরাজিত করেই সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন মুইজ্জু।
এমডিপি নেতা অ্যাডাম যে পদে নির্বাচিত হলেন, সেই পদে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে ওই পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন। সেই পদে মেয়র হিসাবে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন অ্যাডাম।
অ্যাডামের বিপরীতে মেয়র ভোটে পিএনসির তরফে প্রার্থী হয়েছিলেন আইশাঠ আজ়িমা। তাঁর চেয়ে অ্যাডাম পাঁচ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি লক্ষদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
যা ভারতীয়দের মধ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক দিয়েছেন অনেকে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু চিন সফরে গিয়েছিলেন। শনিবারই ফিরেছেন দেশে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুইজ্জু বলেন, “হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।” এর পরেই নতুন মাত্রা পেয়েছে ভারত-মলদ্বীপ বিতর্ক।
মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু মুইজ্জু সে পথে হাঁটছেন না। ক্ষমতায় আসার আগেও তিনি দেশে ভারত-বিরোধী প্রচার চালিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি প্রথমেই ভারতের সেনাকে মলদ্বীপ থেকে সরে যেতে বলেছেন। চিনপন্থী হিসাবেই পরিচিত তিনি। দুই দেশের সম্পর্কে এর প্রভাব পড়তে চলেছে।