পথেই আলাপ দু’জনের। সাধারণ কথাবার্তা, আলাপচারিতার ফাঁকে হঠাৎই এসেছিল এক বিশেষ প্রস্তাব। সেখান থেকেই গল্প শুরু।
আর পাঁচজন গড়পড়তা মানুষের মতোই দু’জন। মহিলার বয়স ২৯। পুরুষটি সবে ৪০-এর কোঠা পেরিয়েছেন। প্রথম দর্শনেই পারস্পরিক আকর্ষণ বুঝতে পারছিলেন দু’জনে। প্রস্তাবটি যদিও এসেছিল চল্লিশোর্ধ্বের কাছ থেকেই।
মহিলার নাম প্যাট্রিসিয়া ওয়েসন। তিনি যৌন পেশার অনিয়মিত কর্মী। প্যাট্রিসিয়াকে তাঁর সঙ্গে নিজের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সদ্য আলাপী পুরুষটি।
তিনি জানান, প্যাট্রিসিয়ার যৌন সংসর্গ পেতে আগ্রহী তিনি। বদলে অর্থ দিতেও প্রস্তুত। শারীরিক সম্পর্কের বিনিময় প্যাট্রিসিয়াকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা দিতে চান তিনি।
প্যাট্রিসিয়া সেই প্রস্তাবে সাড়া দেন। সদ্য আলাপী সঙ্গীকে জানান, তিনি তাঁর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যেতে প্রস্তুত। গন্ডগোল বাধে এর কিছু পরে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনে একসঙ্গে ওই চল্লিশোর্ধ্বের বাড়িতে যান। সেখানে দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের মাঝেই হঠাৎ শুরু হয় কথা কাটাকাটি। যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
দু’জনের মধ্যে জটিলতা একটা সময়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মেজাজ হারান প্যাট্রিসিয়া। হিতাহিত ভুলে আক্রমণ করেন তাঁর কিছু ক্ষণ আগের শয্যাসঙ্গীকে।
ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার শহর মালাওয়িতে। সেখানকার মাঙ্কি বে নামে একটি এলাকার বাসিন্দা ওই চল্লিশোর্ধ্ব। পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাড়ির মেঝেতে নগ্ন অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যন্ত্রণায় প্রায় অচেতন হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পুরুষাঙ্গে মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিল।
গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক বার কোপ বসানো হয়েছে ওই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে।
মালাওয়ির এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে পরে জানা যায়, পুলিশ এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে প্যাট্রিসিয়াকেও।
পুলিশি জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর শয্যাসঙ্গীকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করার কথা। যদিও কেন তিনি এই কাজ করলেন? কিসের জন্যই বা তাঁদের মধ্যে যৌন মিলনের অনতিবিলম্বেই অশান্তি শুরু হল, তা নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, যে ভাবে প্যাট্রিসিয়া ছুরি দিয়ে কোপ মেরেছেন তাঁর গ্রাহকের পুরুষাঙ্গে, তা ভয়াবহ! তাঁর বিরুদ্ধে যৌন অত্যাচারের পাশাপাশি খুনের চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করেছে পুলিশ। তবে শারীরিক মিলন নিয়ে এমন ঘটনার আরও বহু উদাহরণ রয়েছে।
গত বছর জানুয়ারিতেই তুরস্কে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা এবং আরও এক পুরুষসঙ্গী।
পারস্পরিক সম্মতিতে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছিলেন তিন জনে। কিন্তু সঙ্গমরত অবস্থায় হঠাৎই তাঁর বন্ধু তাঁর প্রেমিকার প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠছেন দেখে প্রতিবাদ করেন ওই যুবক।
পাল্টা বন্ধু তাঁর বুকে ছুরি বসিয়ে দেন। কেটে নেন পুরুষাঙ্গও। তাঁর প্রেমিকার সামনেই ঘটে এই ঘটনা। অভিযোগ, এর পর তাঁর শরীরে অন্তত ৫৪বার ছুরির কোপ বসানো হয়।
ভারতেও আছে এমন ঘটনার বেশ কিছু উদাহরণ। বছর চারেক আগে মুম্বইয়ে ঘটেছিল এমন ঘটনা।
এক ২৭ বছরের যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন এক মহিলা। কারণ, ওই যুবক তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন।
দুই সন্তানের মা বছর সাতচল্লিশের এই মহিলাকে প্রায়ই ওই যুবক এমন ‘কুপ্রস্তাব’ দিতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই যুবককে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ হত তাঁর।
নিজের সাফাইয়ে ওই মহিলা বলেছিলেন, অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই পারিবারিক বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে ওই যুবককে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
আবার ২০১৪ সালে পটনায় ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন এক তরুণী। ধর্ষক আবার ছিলেন তাঁর নিজের মেসোমশাই।
১৯ বছরের ওই তরুণীর মেসোমশাই তন্ত্রবিদ্যার চর্চা করতেন। অন্য দিকে, ওই তরুণী প্রায়ই কোনও না কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তরুণীকে সুস্থ করার জন্যই তাঁর মা তাঁকে নিয়ে যান মেসোর কাছে। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।
তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেসো তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে প্রথম দিন তিনি বাড়ি থেকে পালান।
পরে একদিন তরুণীর বাড়িতেই এসে পৌঁছন তাঁর মেসো। ফাঁকা বাড়িতে চড়াও হন তাঁর উপর। এর পরই মেসোর পুরুষাঙ্গে ছুরির কোপ বসান ওই তরুণী।