বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতে শুরু হল ফাইভ জি পরিষেবা। মুকেশ অম্বানীর জিও-র হাত ধরে ভারতে ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রবেশ করল। শনিবার নিজে উপস্থিত থেকে এই নয়া এবং অত্যাধুনিক মোবাইল প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের দাবি, আগামী দু’বছরের মধ্যেই দেশ জুড়ে ফাইভ জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। আপাতত এই পরিষেবা চালু হচ্ছে দেশের ১৩ শহরে।
টেলিকম মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রথমে ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে ফাইভ জি পরিষেবা আসবে। কিছু দিন পর প্রকাশ্যে আসে ভারতের সেই ১৩টি শহরের নাম যেখানে ফাইভ জি প্রযুক্তি সবার আগে ঢুকবে।
এই ১৩ শহরের তালিকায় রয়েছে কলকাতার নাম। খুব শীঘ্রই ফাইভ জি প্রযুক্তির সুবিধা পেতে চলেছেন শহরের বাসিন্দারা।
কলকাতার পাশাপাশি রাজধানী দিল্লির মানুষজনও শীঘ্রই হাই-স্পিড ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
কলকাতা-দিল্লি ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ে পা রাখতে চলেছে ফাইভ জি প্রযুক্তি।
মহারাষ্ট্রের মুম্বই এবং পুণের নামও রয়েছে এই ১৩ শহরের তালিকায়।
উত্তরপ্রদেশের লখনউ, হরিয়ানার গুরুগ্রাম এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চন্ডীগড়ের বাসিন্দারাও খুব শীঘ্রই ফাইভ জি পরিষেবার সুবিধা পেতে চলেছেন।
ফাইভ জি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে গুজরাত। মোদীর রাজ্যে একসঙ্গে তিন শহরে আসছে এই পরিষেবা। শীঘ্রই এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসতে চলেছে গুজরাতের আমদাবাদ, গান্ধীনগর এবং জামনগর শহরে। দেশের অন্য কোনও রাজ্যে একসঙ্গে এত শহরে ফাইভ-জি পরিষেবা আসছে না।
উল্লেখযোগ্য যে, উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও শহরেরই ঠাঁই হয়নি এই তালিকায়। আপাতত উত্তর-পূর্ব ভারতের শহরগুলির বাসিন্দাদের আরও বেশ কিছু দিন ফোর জি পরিষেবা নিয়েই জীবন কাটাতে হবে।
ফাইভ জি প্রযুক্তির অর্থ দ্রুগতির ইন্টারনেট পরিষেবা। নিমেষে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে বড় বড় ফাইল। চোখের পলকে ডাউনলোড হয়ে যাবে গান। ভিডিয়ো কলিং ব্যবস্থা হবে আরও স্বচ্ছ। যাঁরা মোবাইলে গেম খেলতে পছন্দ করেন, তাঁদের আর মাঝে মাঝেই ইন্টারনেট ডাউন হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা করতে হবে না।