নির্বাচন নিয়ে পারদ চড়ছে বাংলাদেশে। দেড় দশকের ধারা বজায় রেখে শেখ হাসিনাই কি ফিরবেন মসনদে? না কি থেমে যাবে তাঁর বিজয়রথ?
এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন নির্বাচনের প্রার্থীরাও। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোটিপতি প্রার্থীর ছড়াছড়ি। গত বারের চেয়ে বেড়েছে ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যাও।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে ২৬৫ আসনে। তাঁদের বার্ষিক গড় আয় ২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। গড় সম্পদমূল্য সাড়ে ২৮ কোটি টাকারও বেশি!
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর নজরদার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সুজন’ বাংলাদেশের ভোটে বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে যে তথ্য তুলে ধরেছে, তা প্রকাশ করছে সে দেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’।
সেই প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই কোটিপতি।
‘সুজন’-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের দাবি, ২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। বেড়েছে প্রার্থীদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য।
বাংলাদেশে এ বারের নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। নির্দল-সহ মোট প্রার্থী ১,৯৪৫ জন। এঁদের মধ্যে ১৪ জন দু’টি করে এবং এক জন তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
‘সুজন’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১,৯৪৫ জন প্রার্থীর মোট বার্ষিক আয় ১,১১৪ কোটি টাকা। মোট সম্পদের মূল্য ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।
ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, বাংলাদেশে এ বারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রায় ৫৯ শতাংশের পেশা ব্যবসা।
আওয়ামী লীগের ২৬৫ প্রার্থীর মধ্যে ১৭০ জন (৬৪ শতাংশের বেশি) পেশায় ব্যবসায়ী। জাতীয় পার্টির ২৬২ প্রার্থীর মধ্যে ১৭৩ জন (৬৬ শতাংশ) ব্যবসায়ী। ৪৩৩ জন নির্দল প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী ৩০২ জন (প্রায় ৭০ শতাংশ)।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এ বার ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। পাঁচ বছর আগেকার ওই ভোটে ব্যবসায়ী প্রার্থী ছিলেন প্রায় ৫২ শতাংশ।