প্যারিসের এক নামজাদা হোটেল। সেই হোটেলেই এসে উঠেছেন কিম কার্দাশিয়ান। হঠাৎ হোটেলের ঘরের টোকা দেওয়ার শব্দ। দরজা খুলতেই সামনে ১২ জন পুলিশ। সকলের বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি।
এত জন পুলিশ এক সঙ্গে ঘরে এসেছেন কী কারণে? মনে প্রশ্ন থাকলেও ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ হল। তার পরেই দৃশ্য বদল।
২০১৬ সালের ঘটনা। প্যারিসের হোটেলে থাকাকালীন কিমের ঘরে পুলিশের ছদ্মবেশে ডাকাতি করতে ঢোকেন ১২ জন প্রৌঢ়।
সেই দলের প্রধান ছিলেন ইউনিস আব্বাস। তাঁর নির্দেশে কিমের হাত-পা বেঁধে বাথটাবে ফেলে রাখেন বাকিরা। সেই ঘরে অবশ্য কিম একা ছিলেন না। ছিলেন তাঁর সেক্রেটারিও।
ডাকাত দেখে ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন নম্বর ডায়াল করেন তিনি। ধরা পড়ার আশঙ্কায় তাড়াহুড়ো করতে থাকেন প্রৌঢ় ডাকাতরা।
হাতের কাছে যা পান, তা-ই ব্যাগে ভরতে থাকে ডাকাতের দল। জানা যায়, ১০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার (ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী প্রায় ৮০ কোটি টাকা) মূল্যের গয়না লুট করেন ডাকাতেরা।
এই গয়নাগুলির মধ্যে ছিল কিমের আঙুলে থাকা ২০ ক্যারাটের হিরের আংটিও। এই আংটির মূল্যই প্রায় ৩১ কোটি টাকা।
ডাকাতি করে হোটেল থেকে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সকলে। হেফাজতে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
ইউনিস জানান, এই ঘটনার জন্য দায়ী কিম কার্দাশিয়ান নিজেই। তিনি নেটমাধ্যমে সব সময় ছবি আপলোড করে লোকজনকে দেখাতে থাকেন।
তাঁর এই লোকদেখানো স্বভাবের জন্যই ডাকাতি করেছেন ইউনুস। কিম কার্দাশিয়ান নিজে থেকেই টাকা ছড়িয়েছেন, তাঁরা সেই টাকাই কুড়িয়ে নিয়েছেন মাত্র, জানিয়েছেন ইউনিস।
তিনি আরও জানান, কিম নেটমাধ্যমে তাঁর গয়নার ছবি দিচ্ছিলেন। সেই ছবিগুলো দেখে ইউনিসরা জানতে পারেন, কিম প্যারিসের কোন হোটেলে রয়েছেন।
পরে ওই হোটেলেই গিয়ে ওঠেন ইউনিসরা। সঠিক সময় বুঝে পুলিশের সাজে কিমের ঘরে ডাকাতি করতে ঢোকেন তাঁরা।
পরে অবশ্য হৃদ্রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে ২২ মাস পর ইউনিস জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। কিন্তু কিম কার্দাশিয়ান এই ঘটনায় বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলেই জানা যায়।