বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং তেলঙ্গানায়। লোকসভার সেমিফাইনালের কাঁটায় কাঁটায় লড়াই চলছে কংগ্রেস এবং বিজেপির। নজরে বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদেরা। এই চার রাজ্যের মধ্যে ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুরের বিধায়ক তথা সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংহদেও ভারতের সব চেয়ে ধনী বিধায়কদের তালিকায় অন্যতম।
তবে শুধু ছত্তীসগঢ়েই নয়, বিত্তশালী বিধায়কেরা রয়েছেন অন্যান্য রাজ্যেও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ভারতের সেরা ১০ ধনী বিধায়ক কারা। কার পকেটের ভার কত বেশি।
চলতি বছরেই ভারতের ২৮টি রাজ্যের বিধায়কদের সম্পত্তির খতিয়ান দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)’। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সব থেকে ধনী বিধায়ক তথা রাজনীতিবিদ রয়েছেন কর্নাটকে।
এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সব থেকে ধনী বিধায়ক কর্নাটকের কনকপুরার কংগ্রেস বিধায়ক তথা সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
রিপোর্ট অনুসারে, শিবকুমারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটিরও বেশি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১,১৪৩ কোটি টাকা। এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শিবকুমারই দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক।
সবচেয়ে ধনী বিধায়কদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেএইচ পুট্টস্বামী গৌড়া। পুট্টস্বামী কর্নাটকের গৌরীবিদানুরের নির্দলীয় বিধায়ক। কোনও দলের ছাতার তলায় না দাঁড়িয়েও ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জিতে যান।
পুট্টস্বামীরও মোট সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটির বেশি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১,২৬৭ কোটি।
সবচেয়ে ধনী বিধায়কের তালিকায় তৃতীয় স্থানে যিনি রয়েছেন, তিনিও কর্নাটকের বিধায়ক। তিনি গোবিন্দরাজনগরের কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়কৃষ্ণ।
শিবকুমার এবং পুট্টস্বামীর মতো প্রিয়কৃষ্ণের সম্পত্তির গণ্ডিও হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। প্রিয়কৃষ্ণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১,১৫৬ কোটি টাকা।
এডিআর রিপোর্ট বলছে, ভারতের চতুর্থ ধনী বিধায়ক অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। চন্দ্রবাবু অন্ধ্রপ্রদেশের বিধায়ক।
তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের বর্তমান বিরোধী দলনেতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬৮ কোটি টাকা।
চন্দ্রবাবুর পর দেশের ধনী বিধায়কদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়ন্তীভাই সোমাভাই পটেল।
জয়ন্তীভাই গুজরাতের মানসার বিধায়ক। এডিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬১ কোটি।
এডিআর রিপোর্টে দেশের সব থেকে ধনী বিধায়কদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন কর্নাটকের হেব্বলের কংগ্রেস বিধায়ক তথা সে রাজ্যের মন্ত্রী ব্যার্থী সুরেশ।
কর্নাটকের ঘরোয়া রাজনীতিতে সুরেশ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪৮ কোটি টাকা।
সুরেশের পর ভারতের সবচেয়ে ধনী বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রধান ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। তিনি পুলিভেন্ডলা কেন্দ্রের বিধায়ক।
এডিআর রিপোর্ট বলছে জগন্মোহনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫১০ কোটি টাকারও বেশি।
মহারাষ্ট্রের ঘাটকোপার (পূর্বের) বিজেপি বিধায়ক পরাগ শাহ এই তালিকায় রয়েছেন অষ্টম স্থানে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি।
নবম স্থানে রয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংহদেও। অম্বিকাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক পরিচিত ‘টিএস বাবা’ নামেও। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিংহদেওয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি।
সবচেয়ে ধনী বিধায়কদের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক মঙ্গলপ্রভাত লোধা। তিনি মালাবার হিলের বিধায়ক। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪৪১ কোটি টাকা।
তবে এডিআরের রিপোর্টে জায়গা পাননি পশ্চিমবঙ্গের কোনও বিধায়ক।