প্রতীকী ছবি
বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে মিউচুয়াল ফান্ড বেশ জনপ্রিয়। হাজারো মিউচুয়াল ফান্ডের ভিড়ে সঠিক সময়ে সঠিক মেয়াদের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়।অবশ্য মিউচুয়াল ফান্ড থেকে যে মুনাফা পাওয়া যায়, তার উপরও কর ধার্য করা হয়।বিনিয়োগের মেয়াদ, টাকার অঙ্ক, কত লাভ হয়েছে সে সবের উপর নির্ভর করছে এই করের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, মিউচুয়াল ফান্ড ইক্যুইটি ভিত্তিক নাকি ঋণ তহবিল তার উপর নির্ভরকরেও আপনার মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনের উপর কর নির্ধারিত হবে। তবে বাজেটে ‘ক্যাপিটালগেইন ট্যাক্স’ –এর মাধ্যমে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
স্কিম যদি হয় ইক্যুইটি ভিত্তিক, আর তা ১২ মাস অথবা তারও কম সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে, তা হলে তার লাভের উপর ১৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়। আর মেয়াদ যদিহয় ১২ মাসের বেশি তা হলে সে ক্ষেত্রে করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। কারণ এই ইক্যুইটি ভিত্তিক স্কিম থেকে যে মুনাফা পাওয়া যায় তা দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের লাভ হিসাবে ধরা হয়।
অতএব, ইক্যুইটিতে এক বছরের কম সময়ের বিনিয়োগ হলে এবং সেই অর্থবর্ষে লাভের পরিমাণযদি ১ লক্ষ টাকার উপর হয়, তা হলে আয়কর দাঁড়াবে ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে, এক বছরেরবেশি মেয়াদের বিনিয়োগে ১ লক্ষ টাকার বেশি লাভ হলে সে ক্ষেত্রে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ।
আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। ইএলএসএস অর্থাৎ ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগ করলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৮০সি –এর অধীনে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। ইএলএসএস -এ সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। তবে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি –এর অধীনে কর ছাড়সহ তিন বছরের লক-ইন রয়েছ এইপ্রকল্পে। যাই হোক, সব দিক বিবেচনা করে মিউচুয়াল ফান্ড বাছাই করুন এবং আর্থিক দিক থেকে সুরক্ষিত থাকুন।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।