প্রতীকী ছবি
আমরা সকলেই চাই আমাদের সম্পদও যেন থাকে দুধে ভাতে। যা জমাই, তার যেন কোনও ক্ষয় না হয়। একই সঙ্গে তা বহরে বাড়ে, ভাল রিটার্ন দেয়, আর তারই সঙ্গে যেন কর ছাড়ও পাওয়া যায়। ভাবছেন, এত সব কী ভাবে পাবেন?
উপায় দীর্ঘ মেয়াদের বিনিয়োগ। বেছে নিন ইএলএসএস অথবা ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম। এক কথায় করসাশ্রয়ী মিউচুয়াল ফান্ড বলতে যা বোঝায়, ইএলএসএস তাই। এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে যুঝে আপনাকেও রাখবে দুধে ভাতে।
এই প্রকল্পের বেশ কিছু ভাল দিক রয়েছে। সমস্যা একটাই। আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে কর ছাড়-সহ তিন বছরের লক-ইন রয়েছে এই প্রকল্পে। তাই তিন বছর আপনি তা ভাঙাতে পারবেন না। তবে তিন বছর বাদে বিনিয়োগেরযতটা ইচ্ছা ভাঙিয়ে বাকিটা ধরে রাখতে পারেন। তবে এই ছাড় পেতে গেলে তিন বছর আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে।
এই প্রকল্পের নানা বিকল্প রয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য সব থেকে লাভজনক হল রিটার্নের অংশ আবার বিনিয়োগ করানো। বিনিয়োগকারী এককালীন বা পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগের (সিপ) সুযোগ পাবেন। যদি ইক্যুইটিতেবিনিয়োগ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে ও সেই আর্থিক বছরে আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়, সে ক্ষেত্রেঅতিরিক্ত আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে বিনিয়োগকারীকে।
বর্তমানে ইএলএসএস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের কাছে। যেহেতু আমরা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে, সুতরাং এখনই করসাশ্রয়ী বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। সম্পদ গড়ে তোলার জন্য সঠিক সময়ে বিনিয়োগের সঠিক স্কিম বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব দিক বিবেচনা করে আর্থিক পরিকল্পনা করুন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।