একটা বছর শেষ হয়ে গেল। সেই ২০১৯ থেকে কোভিডের অন্ধকার আমাদের ছেয়ে রেখেছিল। ২০২৩ সালে প্রথম আমরা আলো দেখতে পাচ্ছি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। শুধু দেশের অর্থনীতিতে নয়, আমাদের ব্যক্তি জীবনেও এই কালো সময় এতটাই ছাপ ফেলেছে যে, আর বলার নয়।
অনেকে সঞ্চয়ের কথা ভাবতেই পারেননি। কিন্তু ঘুরে তো দাঁড়াতেই হবে। আর একই সঙ্গে ভাবতে হবে আগামী জীবনের কথাও। ঠিক সেই ভাবে, যে ভাবে ভাবতেন ২০১৮ সালেও। তা হলে আসুন, ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তাটা তৈরি করে ফেলি।
শুরু করুন নতুন বছরে আপনার আর্থিক লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, তাই দিয়েই। একটা কাগজ আর কলম নিয়ে বসে পড়ুন।
প্রথম প্রশ্নই হওয়া উচিত বাজারে আপনার কত ঋণ আছে, তাকে ঘিরে। কত বছরে ঋণ শোধ করতে হবে আপনাকে? আজকের আয়ের নিরিখে সেই শোধ করার রাস্তাটি কি সময়ের হিসাবে আর একটু কমিয়ে ফেলা যাবে?
অবসরের পরে দিন কাটানোর জন্য সঞ্চয়ের নতুন পথ খোঁজা যাবে? যাতে আরও একটু বেশি আয় তখন হতে পারে?
গাড়ি বা বাড়ি যদি করতেই হয়, তা হলে তা কত দিনের মধ্যে করতে চান? তার জন্য সঞ্চয়ের কথাও তো ভাবতে হবে, মাস গেলে যতটা পারা যায়। কিন্তু কতটা পারবেন, সেটা কিন্তু এখনই স্থির করতে হবে।
মাস গেলে কত টাকা ঘরে আনেন আপনি? এ বছর আয় বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে তাই বা কত? কর বাবদ কত টাকা খরচ হয়? কর বাঁচানোর কোনও রাস্তা ফাঁকা আছে কি? যে রাস্তায় আপনার সম্পদও আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
মাস গেলে কত খরচ হয়, তার অঙ্কটা এ বার কষে ফেলুন। দেখবেন এর মধ্যে অনেক কিছু থাকবে, যা না করলেও আপনার চলে। বাদ দিন সেগুলো। মাসে ১০০ টাকা বাঁচাতে পারলেও তা কিন্তু দীর্ঘকালীন অঙ্কে অনেক। সে রকম হলে বাইরে খাওয়ার দিন কমিয়ে না হয় বাড়িতেই নিজেদের নিয়ে হুল্লোড় করলেন। দেখবেন বাঁচবে অনেক টাকা।
আয় থেকে ঋণ মেটানোর খরচ সহ মাসিক খরচের অঙ্ক বাদ দিলেই কিন্তু আপনার সঞ্চয়ের ক্ষমতা বেরিয়ে আসবে। আর তাতে যদি মন না ভরে, তা হলে ফিরে যান খরচের হিসাবে। দেখুন কোন খাতে আরও কিছুটা ব্যয় কমানো যায়।
যে সব ঋণে সুদ বেশি, যেমন, ক্রেডিট কার্ড, সেই ঋণ আগে শোধ করুন। দেখবেন, স্বস্তি বাড়বে।