প্রতীকী ছবি
ছোটবেলা থেকেই কথাটা শুনে এসেছি। ঘি তো খাবই। তা ধার করে হলেও। এটা অবশ্য বাংলায় কেউ বলত না। এর সংস্কৃত রূপটি বলা হত। সেটি ছিল এরকম, “ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেত”। এটা চলত নানা ভাবে। ১৯৯০ সালের আগে লোকের ছিল পেনশন না হয় পৈতৃক সম্পত্তি। তো এরকম মানুষ তো সব যুগেই থাকেন, যাঁরা আয়ের সীমানায় ব্যয়কে কোনও দিনই বাঁধতে শেখেননি। তাঁরা চিরকালই চাহিদাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। ঠাঁটবাটই জীবনের মূল ভেবে কাটিয়েছেন।
এরকম না থাকলে অবশ্য শিবরাম লিখতে পারেতেন না তাঁর লেখা। তৈরি হতনা কাবুলিওয়ালাদের নিয়েও এত গল্প। কিন্তু একই সঙ্গে সেই সময়ের বাংলা ছবিতে দেখেছি পাওনাদার কী ভাবে ঘর থেকে বার করে দিচ্ছে ঋণ শোধ না পাওয়ার কারণে।
তবে যুগ পাল্টেছে। এখন চাইলেই যে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া যায় তা নয়। তবে এখন সংস্থার মতো আপনার আমারও কিন্তু ঋণ শোধ করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়ে থাকে। শুধু আয় নয়, আপনার বর্তমান দায়ও সেই হিসাবের মধ্যে থাকে। এবং আপনি যদি সঞ্চয় উপদেষ্টার কাছে যান তিনিও আপনাকে একটা প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দেবেন যা থেকে তিনি আপনার সম্পদ এবং দায়ের অনুপাত বার করার চেষ্টা করবেন। উদ্দেশ্য একটাই। আপনার সম্পদকে আপনার লাভের কথা মাথায় রেখেই তার বিন্যাস করা। সঞ্চয়কে সাজিয়ে তোলা যাতে আপনারই উপকার হয়।
তাই আগে যে সব শব্দ শুধু সংস্থার ব্যালান্সশিটের সঙ্গে উচ্চারিত হত আজ কিন্তু তা আপনার আমার জীবনেও ব্যবহার হচ্ছে। যেমন সম্পদ ও দায়ের অনুপাত বা অ্যাসেট টু ডেট রেশিও।
এই অনুপাতে সম্পদ বলতে আপনার নামে যা আছে, নগদ থেকে শুরু করে স্থায়ী সম্পদ সব কিছুর মূল্য আর সব দায় এক জায়গায় করে তার অনুপাত নিলেই এই সংখ্যাটা পাওয়া যায়।
জীবনের শুরুতে এই সংখ্যাটা কম হতে পারে। কারণ আপনি ফ্ল্যাট কিনেছেন হয়ত। মাঝ বয়সে গিয়ে সেটা একটু কম আর আরও পরে আরও কম। কিন্তু কোন সংখ্যাটা ঠিক তা কিন্তু সঞ্চয়ের কৌশলের প্রেক্ষিতে আরও কয়েকটি অনুপাতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয়।
বাকিগুলো সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন এখানেই।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।