প্রতীকী চিত্র
২০২৩ সালের বাজেটে নতুন কর কাঠামো ডিফল্ট হিসেবে নির্দিষ্ট করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সঙ্গে রয়েছে পুরনো কর ব্যবস্থাও। আয়করদাতা নিজের পছন্দ মতো কর কাঠামো বেছে নিতে পারেন। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন কর ব্যবস্থার অধীনে কর দিলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য রইল তারই মুশকিল আসান।
নতুন কর কাঠামোয় উল্লেখযোগ্য কিছু সংস্কার করেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে আয়করদাতাদের মধ্যে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনিও নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর জমা দেন? তা হলে জেনে নিন কিছু সুবিধা।
নতুন কর কাঠামোয় অনেকগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত মৌলিক ছাড়ের সীমা, ৫০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এবং রিবেটের সীমা বাড়ানো অন্যতম।
করদাতারা গ্রস স্যালারি থেকে ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাবেন। এ ছাড়া নতুন কর কাঠামো বেছে নেওয়া পেনশনভোগীরা পেনশন থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর ১৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।
পাশাপাশি আয়কর আইনের ধারা ৮৭এ-র আওতায় নতুন কর ব্যবস্থায় রিবেট ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা অবধি করা হয়েছে। আয় ৭ লাখের বেশি না হলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যদি ৭.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হয়, তা হলে আয়কর দিতে হবে না। কারণ তাঁরা মোট আয়ের উপরে ৫০ হাজার টাকা অবধি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।
নতুন কর কাঠামোর লক্ষ্য হল, করদাতাদের করছাড়ের বদলে কম ট্যাক্স স্ল্যাবে নিয়ে আসা। তবে এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে করদাতারা অতিরিক্ত সুবিধা দাবি করতে পারেন।
নতুন কর কাঠামোর অধীনে কোনও ব্যক্তি আয়কর আইনের ধারা ২৪ (বি)-র আওতায় ভাড়া দেওয়া সম্পত্তির জন্য নেওয়া গৃহঋণের সুদের জন্য ডিডাকশন দাবি করতে পারেন।
আবার, আয়কর আইনের ধারা ৮০সিসিডি (২)-এর অধীনে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম অ্যাকাউন্টে নিয়োগকর্তার অবদানের সুবিধাও দাবি করতে পারেন করদাতারা। এ ছাড়াও স্বেচ্ছা অবসর, গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রেও কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।