Government Schemes

ভাল রিটার্ন, সঙ্গে দারুণ সব সুবিধা! এই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে পারে তুরুপের তাস

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরেই তৎকালীন সরকারের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৫১
Share:
০১ ১২

স্বল্প সঞ্চয় খাতে বিনিয়োগের জন্য বাজার চলতি একাধিক সরকারি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রকল্পটি হল ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি) বা জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্র।

০২ ১২

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরেই তৎকালীন সরকারের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। সরকারের লক্ষ্য ছিল দেশবাসীর থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নশীল খাতে বিনিয়োগ করা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সংগৃহীত অর্থ সুদ সমেত ফেরত দিয়ে দেওয়া।

Advertisement
০৩ ১২

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। এর প্রথম কারণ হল এর রিটার্ন এবং এর ঝুঁকির মান। বিনিয়োগের সম্পূর্ণ টাকাটাই সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ হওয়ায় এই প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি থাকে না। সেই সঙ্গে এমন বেশ কিছু সুযোগ সুবিধাও রয়েছে, যা অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পে নেই।

০৪ ১২

প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল যথাক্রমে পাঁচ বছর ও ১০ বছর। তবে পরবর্তী সময়ে ১০ বছরের বিকল্পটি বন্ধ করা হয়। যে কোনও ব্যক্তি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এনএসসি কিনতে পারেন। তবে এর লক-ইন পিরিয়ড পাঁচ বছর। অর্থাৎ এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে পাঁচ বছরের আগে প্রদেয় অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব নয়।

০৫ ১২

জাতীয় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ঠিক করে সরকার। প্রতি বছর বাজেটের সময় এই সুদের হার নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এনএসসি-তে সুদের হার ৬.৮ শতাংশ। এই সুদের পরিমাণ বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়। এই সুদের হার সেই সময়ে করা বিনিয়োগের উপরে স্থির থাকে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তন হয় না।

০৬ ১২

এই প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ নূন্যতম এক হাজার টাকা। এর পরে ১০০-র গুণিতকের সমান যে কোনও অঙ্কের বিনিয়োগ করা যায়। তবে এই প্রকল্পে বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।

০৭ ১২

যে হেতু এই প্রকল্পটির লক-ইন এর সময়সীমা পাঁচ বছর, সে হেতু এটি নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে প্রত্যাহার করা যাবে না। তবে হ্যাঁ, শুধুমাত্র দু’টি ক্ষেত্রে এটি করা যেতে পারে। প্রথমত, যদি ওই অবদানকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের মৃত্যু হয়। দ্বিতীয়ত, কোনও জরুরি অবস্থায় আদালতের নির্দেশে।

০৮ ১২

স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগের তুলনায় এনএসসি বা জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের আরও একটি সুবিধা রয়েছে। যা এই ধরনের অন্য কোনও প্রকল্পে নেই। কোনও অবদানকারী এই প্রকল্পে শংসাপত্রের বিনিময়ে ব্যাঙ্ক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঋণ নিতে পারেন।

০৯ ১২

তবে যে কোনও ব্যক্তি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন না। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করার প্রাথমিক শর্তই হল ওই বিনিয়োগকারীকে ভারতীয় হতে হবে। অর্থাৎ কোনও অনাবাসী বা প্রবাসী ভারতীয় জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র পোস্ট অফিসের যে কোনও শাখায় গিয়েই প্রয়োজনীয় নথি ও ডিমান্ড ড্রাফ্ট জমা করে প্রকল্পের শংসাপত্র কেনা যায়।

১০ ১২

মনে রাখবেন, জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পে করা বিনিয়োগ স্থানান্তরিত করা যায়। তার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। তবে কোনও শংসাপত্র এক ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তিকে দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরনো শংসাপত্র বাতিল হয় না।

১১ ১২

পাশাপাশি, আয়কর আইন অনুযায়ী, এই খাতে বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধাও রয়েছে। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি ৮০সি-র অধীনে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন। এনএসসি-তে বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে কর সাশ্রয় বিনিয়োগ হওয়ায় এগুলির লক-ইন সময়সীমা রয়েছে।

১২ ১২

এ ছাড়াও জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে সুদ বাবদ যে পরিমাণ আয় হয়, তার উপরে টিডিএস বাবদ কোনও অর্থ কাটা হয় না। অর্থাৎ আয় বাবদ পুরো টাকাটাই আপনার। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প দাবি করা না হলে ওই অর্থ সুদসমেত পুনরায় জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement