প্রতীকী চিত্র
প্রায় ১৪ বছর আগে ২০০৭ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাজারে নগদের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেনকে জনপ্রিয় করা, খুচরো বাজারে লেনদেনকে আরও দক্ষ করে তোলা। কোম্পানি আইনের তৎকালীন ধারা ২৫-এর (যা পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানে ধারা ৮ হিসাবে পরিচিত) অন্তর্গত ‘না-লাভজনক’ সংস্থা হিসাবে ১০টি ব্যাঙ্কের যৌথ বিনিয়োগে গড়ে ওঠে সংস্থাটি।
এই সংস্থাটিই কিন্তু আজ আমাদের দ্রুত চেক ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা, ভিম, ভিমের মতো আধার ভিত্তিক মোবাইল থেকে মোবাইল নাম্বার জানলেই টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা, রুপে কার্ডের মতো ব্যবস্থার জনক।
এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চাইছে একই ভাবে বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে একই ব্যবস্থা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নোটিস অনুযায়ী যে আইনে এনপিসিআই তৈরি হয়েছিল, সেই একই আইনে এই সংস্থাটিও তৈরি হবে। অন্যতম ফারাক হবে সংস্থাটির ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের। এনপিসিআই তৈরি হয়েছিল ধারা ৮ সংস্থা হিসাবে। না-লাভ না-ক্ষতি-র সংস্থা হিসাবে। বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি এই প্রস্তাবিত সংস্থা লাভজনক হিসাবেও তৈরি হতে পারে বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নোটিস বলছে।
কে আসছে এই সংস্থা গড়তে? বাজার বলছে টাটারা উৎসাহিত। আগ্রহী অম্বানীরাও। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করেছে। তার মানে বাজারে সে রকম উৎসাহ দেখা যায়নি। কিন্তু অনেকেই বলছেন শেষ মুহূর্তে মাঠে নামার জন্য তৈরি হচ্ছেন অনেকেই। কারা তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করব। কিন্তু ভিম সাবধান! আগামী দিনে তৈরি হচ্ছে লেনদেনের কুরুক্ষেত্রের প্রান্তর।