প্রতীকী ছবি
কথা হচ্ছিল এক প্রথিতযশা সঞ্চয় বিশেষজ্ঞর সঙ্গে। বলছিলেন নিজের কথা। নিজে এক বিদেশি ব্যাঙ্কে বিত্তশালীদের সম্পদ দেখাশোনা করতেন। স্ত্রীও কাজ করতেন সেই ব্যাঙ্কেই। দু'জনেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে এখন ব্যক্তিগত ভাবে বিত্তশালীদের অর্থ এবং সঞ্চয় সামলান। স্ত্রী সংসার সামলান। বলছিলেন সঞ্চয়ের প্রশ্ন উঠলেই তাঁর স্ত্রী তাঁর দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেন, “ও জানে।”
আর সমস্যা এখানেই। শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই মেয়েরা ছেলেদের থেকে সঞ্চয় এবং ঋণ শোধের ব্যাপারে অনেক এগিয়ে। অথচ গড়ে ২০ শতাংশ কম আয় করেন এবং ছেলেদের থেকে সঞ্চয় বেশি করলেও রিটার্ন পাওয়ার অঙ্কে কিন্তু বেশ পিছিয়ে। তবে হ্যাঁ, সাম্প্রতিককালে চাকা ঘুরতে শুরু করলেও অবসরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতেও ছেলেরা অনেক এগিয়ে। ছেলেরা যখন ২ কোটির তহবিল ভাবছেন মেয়েরা তখন ১ কোটিতেই আটকে যাচ্ছেন।
এটা সমীক্ষা। কিন্তু সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সবাই একমত যে মেয়েরা চিরকালই পরিবারের স্বার্থরক্ষায় ছেলেদের থেকে অনেক বেশি নিয়োজিত প্রাণ।
সংসার চালাতে বাজেট তৈরির ব্যাপারে মেয়েরা অনেক বেশি পারদর্শী। এবং তাঁদের স্পষ্ট ধারণা আছে সংসারের খরচ চালানোর ব্যাপারে। উপদেষ্টাদের বক্তব্য, যাঁরা এতটা পারেন তাঁরা কেন সঞ্চয়ের ঝুঁকি এবং রিটার্নের সম্পর্ক বুঝে নিজেদের আয় বাড়াবেন না?
কর্মক্ষেত্রেও একই কাজ করে কম আয় করলে তা নিয়েও লড়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু তারও আগে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের প্রবণতা থেকে বেরতেই হবে।
অনেক উপদেষ্টাই বলেন যে বিনিয়োগের জন্য তাঁদের হাতে টাকা তুলে দিতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু বিনিয়োগের ঝুঁকির কথা বললেই হয় তাঁরা শুনতে চান না, নয় তাঁরা ঝুঁকি আছে বলে পিছিয়ে যান। এঁদের বক্তব্য মেয়েদের উচিত অবসরের জন্য অনেক বেশি সঞ্চয়ের কথা শুধু ভাবলেই হবে না, তা হাতে পেতে একটু বেশি ঝুঁকিকে মেনে নিতে হবে।তাহলেই রিটার্নের অঙ্ক বাড়বে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।