প্রতীকী ছবি
আমরা নিজেদের অজান্তেই কিন্তু ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে নানান সম্পদ বা পরিভাষায় যাকে বলে অ্যাসেট ক্লাস তাতে বিনিয়োগ করে চলি। যেমন বাড়ি, ফিক্সড ডিপোজিট, বিমা, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদী। কিন্তু তা করতে গিয়ে যা মাথায় রাখি না তা হল কেনই বা বিশেষ কোনও সঞ্চয়ের রাস্তায় হাঁটছি। অথবা যত টাকা কোখাও রাখছি সেই পরিমাণ টাকাই বা কেন রাখছি তাতে।
আর এর ফলে কী হয়? একই টাকা সঞ্চয় করছেন আপনার সহকর্মীর মতোই। কিন্তু জীবনের শেষে গিয়ে দেখলেন আপনার সহকর্মীর ভবিষ্যত আপনার থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত! আর এর কারণ খতিয়ে দেখলে দেখবেন আপনার সহকর্মীর বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত আপনার থেকে অনেক বেশি পরিকল্পিত। এটা হতেই পারে যে নিজের অজান্তেই তিনি যে রাস্তা বেছেছেন তা তাঁর প্রয়োজনের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। অথবা তিনি যা করেছেন তা করেছেন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করেই করেছেন বলে শেষে গিয়ে লাভের গুড়ের ভাগটা তাঁর কপালে জুটেছে আপনার থেকে বেশিই।
আমার অভিজ্ঞতা বলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সঞ্চয়কারীরা নিজেদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং সঞ্চয়ের লক্ষ্য মিলিয়ে বিভিন্ন সম্পদ বা অ্যাসেট ক্লাসে লগ্নি করতে পারেন না। আর তাতে ফিক্সড ডিপোজিট বা অন্য কিছুতে সঞ্চয়ের পাল্লা ভারি হয়ে যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সঞ্চয়কারীরা ৮০ সি-র সুবিধা মেলে এমন রাস্তায় নিজের সঞ্চয়কে পরিচালিত করতে চান। এর ফলে হয়ত করা বাঁচে। কিন্তু লাভের পরিমাণ যতটা হতে পারত ততটা হয়না।
এই সমস্যার সুরাহা কী? এ ক্ষেত্রে সাধারণ বুদ্ধি যা বলে তাই করাই ভাল। সঞ্চয়ের ঝুলিটা কাউকে দিয়ে একবারনিরীক্ষণ করিয়ে নেওয়া ভাল। এতে যদি দেখা যায় যে আপনার লগ্নিকে একটু নতুন করে সাজিয়ে নেওয়া দরকারতাহলে তাই করতে হবে।
আর এই সব ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড সব থেকে ভাল। কারণ এখন অনেক ফান্ড রয়েছে যার মাধ্যমে এক লপ্তেইকুইটি, ঋণপত্র, সোনায় বিনিয়োগ করতে পারেন। আর মজার ব্যাপার হল এই ফান্ডগুলি যেহেতু পরিষ্কার জানিয়েদেয় আপনার বিনিয়োগ কী অনুপাতে কিসে বিনিয়োগ করা হচ্ছে তাই আপনি কোন অ্যাসেট ক্লাসে কতটা বিনিয়োগকরছেন তা জানার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চয়ের ঝুঁকির অঙ্কটাও পরিষ্কার ধরা পড়বে আপনার কাছে।
ঝুঁকির অঙ্ক:
মাথায় রাখুন ঝুঁকির কথা। যে কোনও সঞ্চয়েই ঝুঁকি আছে। যেখানে ঝুঁকি বেশি সেখানে আয় বা রিটার্নও বেশি। তাইবিভিন্ন ঝুঁকির সম্পদে বিনিয়োগ ছড়াতে পরামর্শ দেন উপদেষ্টারা যাতে গড়ে আয় বা রিটার্ন উপরের দিকে থাকে।কিছু কমলে অন্য জায়গায় যাতে আয় বেড়ে গড় রিটার্ন ঠিক থাকে।এছাড়া মনে রাখতে হবে সময়ের সঙ্গে বাজার ওঠা নামা করে। তাই এক লপ্তে সব বিনিয়োগ না করে অল্প অল্প করেধারাবাহিক বিনিয়োগ এবং তা দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে করলে আপনি লাভবান হবেনই।
প্রতিবেদক সঞ্চয় উপদেষ্টা। বক্তব্য নিজস্ব।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।