প্রতীকী ছবি
অনেকেই আছেন, যাঁরা রোজই প্রায় দেখেন সঞ্চয়ের হাল কী হল। অনেকটা ওই খবরের কাগজে রাশিফল দেখার মতো। তার পরে কখন যে তা নেশায় দাঁড়িয়ে যায়, তা বুঝেই উঠতে পারেন না। আর তার পর সারাটা দিনই কাটান বিমর্ষতায়।আপনি যদি এই দলের হন তাহলে আগে নিজেকে শুধরে নিন। আর তার পরে জেনে নিন কখন খতিয়ে দেখবেন সঞ্চয়ের স্বাস্থ্য।
যদি আপনি ইক্যুইটি প্রকল্পে টাকা ঢালেন, তা হলে ভুলে যান সেই বিনিয়োগের কথা। দেড় থেকে দু’বছর বাদে ঝুলি থেকে ধুলো ঝেড়ে নাড়ি টিপে দেখুন তার স্বাস্থ্য। তার আগে একেবারেই নয়। কারণ ইক্যুইটি ফান্ডের বড় হয়ে উঠতে একটু সময় লাগেই। তাই প্রতিদিন তার উপর নজর রেখে ভগ্নমনোরথ হয়ে লাভ কি?
সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসাবে আপনার এ বার যেটা করা উচিত, তা হল আপনার ঝুলিতে থাকা ফান্ডগুলির একটা তালিকা করে ফেলা। এর পর সেই তালিকায় যে যে ফান্ড আপনাকে আশানুরূপ রিটার্ন দিচ্ছে না, তাদের আলাদা করে ফেলা। এর পর প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে এই তালিকার প্রত্যেকটি ফান্ডকে নজরদারিতে রাখা। তিনটে ত্রৈমাসিকের পরে দেখবেন কয়েকটির স্বাস্থ্য ফিরেছে। আর বাকিগুলো হয়তো আরও খারাপ করেছে বা একই রকম। আবারও বলছি, অন্তত তিনটে ত্রৈমাসিক না দেখে কোনও বিনিয়োগের নিদান হাঁকবেন না।
তবে বাদ দেওয়ার আগে আরও একটা জিনিস দেখে নিতে ভুলবেন না। আপনার ফান্ড পরিচালনা করার জন্য এক জন ম্যানেজার আছেন। তিনি ওই ফান্ডকে ঠিক রাখতে তহবিলের বিনিয়োগ বদলাতে থাকেন বাজারের অবস্থা বুঝে। এবং নিয়মিত ফান্ডটির অবস্থান নিয়ে রিপোর্ট দেন। সেটি দেখে বোঝার চেষ্টা করুন আপনার আশা কেন মিটছে না। এবং একটু খারাপ করলেও এক্ষুণি সেই ফান্ড থেকে বিনিয়োগ সরাবেন কি না।
মাথায় রাখবেন যে মুহূর্তে ফান্ড ম্যানেজার লগ্নির বদল করছেন, তার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু সেই তহবিলের ঝুঁকির চরিত্রও বদল হচ্ছে। তাই চোখ রাখুন রিস্ক-ও-মিটারে। আপনি তো কম ঝুঁকিতে যতটা বেশি আয় করা যায়, সেটাই চান। অন্তত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাই চেয়ে থাকেন। তাই আপনাকে কিন্তু এই নজরদারি করতেই হবে। মাথায় রাখুন আজকের জীবন আর তত সরল নয়। তাই জটিলতা এড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করলে ঠকবেন কিন্তু আপনিই।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।